ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

৮৫ টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা ২ লক্ষ ২২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা


৭ জুলাই ২০২০ ০৫:৪৭

ছবি সংগৃহীত

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) আজ সোমবার দ্বিতীয় দফা পরিচ্ছন্নতা অভিযানের তৃতীয় দিনে মোট ১৩হাজার ৬৮৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৮৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭হাজার ৯০৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ১৮টি মামলায় মোট ২লক্ষ ২২হাজার ৮০০টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।

আজ উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট ১হাজার ৩০১ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১০৪৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে মোট ২হাজার ৯৪৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৩৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি মামলায় মোট ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাখালী, অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৬৯৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১হাজার ১১৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ২০নং ওয়ার্ডের মহাখালী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি প্রতিষ্ঠান ও বাড়িকে ৪টি মামলায় মোট ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট ১হাজার ৪৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮২৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ১৫হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
কারওয়ান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট ২ হাজার ৩৩৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫১১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে মোট ১হাজার ৭২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১হাজার ৩৩৬টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ২০২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১৫১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭১৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৫২১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮টি মামলায় মোট ৫হাজার ৩০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৮৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে ৩৭৯টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৭৭৭টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৯৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উল্লিখিত সকল এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা পূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জন্সাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

৪জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের এই চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত এই তিন দিনে মোট ৩৯হাজার ৬০৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ২৭৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৪হাজার ৪৬৭টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এই ৩দিনে মোট ৬লক্ষ ৭৫হাজার ৭০০টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আগামীকালও অব্যাহত থাকবে।