ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

লণ্ডভণ্ড শ্যামনগর


১১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০২

প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল' এর আঘাতে শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় গাবুরা, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নে শতকরা ৮০ ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় অধিকাংশ মৎস্যঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। গাছ-গাছালি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন সাগর জানান, উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার ৩২৮টি মৎস্যঘেরের মধ্যে ৩২৮টি মৎস্যঘেরের মধ্যে ৩ হাজার ২৬৫টি প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া জানান, ১২টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। তার মধ্যে অতিবৃষ্টির কারণে ২০ শতাংশ আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যন জি এম মাসুদুল আলম, পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন, আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কাশেম মোড়ল ও কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, ইউনিয়নের অধিকাংশ কাঁচা ঘর-বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ-গাছালি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।

সার্বিক বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, চার ঘণ্টাব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ে ১২টি ইউনিয়নে ১৭ হাজারেরও বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি ও শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। তা ছাড়া আধাপাকা ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ-গাছালি ভেঙে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৎস্যঘের ও আমন ফসল তলিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় ২৭১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নতুনসময়/আইকে