নায়িকা শিমলা নিখোঁজ!
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদি ওরফে মাহিবি জাহানের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা শিমলার হদিস পাচ্ছে না পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মামলার সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মামলার চার্জশিট দিতে পারব। সিমলা দেশের বাহিরে থাকার কারণে আমাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শিমলাকে তদন্ত সংস্থার কাছে হাজির হতে দু-এক দিনের মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানায় নোটিস পাঠানো হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া বলেন, চিত্রনায়িকা শিমলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। একাধিকবার তার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু কেউ শিমলার হদিস দিতে পারেননি। তদন্ত দলের কাছে হাজির হতে দু-এক দিনের মধ্যে তাকে নোটিস দেওয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, চিত্রনায়িকা শিমলা বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তাকে দেশে এসে তদন্ত দলের কাছে হাজির হওয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হয় বিভিন্ন মাধ্যমে। কিন্তু তিনি হাজির হননি। তার এ আচরণ সন্দেহের চোখে দেখছে তদন্ত দল।
অন্যদিকে গত ১৬ এপ্রিল মুম্বাই থেকে সিমলা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি যা বলার সেই সময় বলে দিয়েছি। এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি তাকে (পলাশকে) বিয়ে করেছিলাম এবং ডির্ভোসও হয়েছে আমাদের। তাই এ নিয়ে নতুন করে বলে ছোট মানুষের পরিচয় দিতে চাচ্ছি না। এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনার কিছু নেই।
দেশে কবে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আপাতত দেশে (বাংলাদেশে) আসার কোন পরিকল্পনা নেই। যেহেতু আমার হাতে কোন সিনেমা বা কাজ নেই। যদি কোন কাজের জন্য আমাকে বলা হয় তখন অবশ্যই আমি দেশে যাব। আমাদের দেশের সিনেমার অবস্থা তেমন ভালো না। তাই আপাতত দেশে ফেরার চিন্তা করছি না।
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর বিমানের ফ্লাইট ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ আহমেদ। বিমানটি ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টার পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে প্যারাকমান্ডো অভিযান চালিয়ে জিম্মিদশা থেকে বিমানটি মুক্ত করা হয়। অভিযানে নিহত হন ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদ। এ ঘটনায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাতে নিহত পলাশ আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে।
নতুনসময়/এনএইচ