ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


মায়ের আত্মবিশ্বাসে সুস্মিতা বিশ্বসুন্দরী হয়েছিলেন


১০ মে ২০২০ ১৯:৪৭

বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। ১৯৯৪ সাল তার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ সে-বছর ‘মিস ইন্ডিয়া’ খেতাব জেতেন এই বঙ্গতনয়া। শুধু তাই নয়, একই বছর প্রথম ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এর মুকুট ওঠে সুম্মিতার মাথায়।

তবে কাজটা এই অভিনেত্রীর জন্য মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু মায়ের সহযোগিতা ও আত্মবিশ্বাসে সেরার মুকুট জয় করেছিলেন সুস্মিতা। কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, মাকে পাশে রেখে একটি অনুষ্ঠানে মিস ইন্ডিয়া হওয়ার স্মৃতিচারণ করছেন সুস্মিতা।

মিস ইন্ডিয়ার মতো এমন একটি আসরে যাওয়ার জন্য নামকরা ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতায় চারটি আলাদা আলাদা পোশাক পরতে হয়। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুস্মিতার পোশাক কেনার সামর্থ্য ছিল না।

সেদিন সুস্মিতাকে আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি উৎসাহ দিয়েছিলেন তার মা। অনুষ্ঠানে এই অভিনেত্রী বলেন, “ডিজাইনার গাউন পরে স্টেজে উঠব এত টাকা ছিল না। মা শুনে বলেছিল, ‘কাপড় দেখতে লোক আসবে না, তোমায় দেখতে আসবে।’ তারপর সরোজিনী নগর মার্কেট থেকে কাপড় কিনে আনলাম। আমাদের নিচে গ্যারাজে দর্জির কাজ করতেন একজন। মা তাকে কাপড় দিয়ে বলল, ‘টিভিতে দেখাবে, ভালো করে বানাবেন।’ তিনিই আমার সেই গাউন বানিয়েছিলেন। পরে অবশিষ্ট কাপড় দিয়ে ফুল বানিয়ে মা ওই গাউনে বসিয়ে দিয়েছিলেন। আর নতুন কালো মোজা কিনে তাতে এলাস্টিক লাগিয়ে গ্লাভস বানিয়ে পরেছিলাম।”

তবে মুকুট জেতার এই পথ সুস্মিতার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। সেবার মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় সেরার লড়াইয়ে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় তাকে। তবে শেষ হাসি হেসেছিলেন ‍সুস্মিতা। সেই সময় মায়ের কথাগুলো আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে। তার মা বলেছিলেন, ‘তাকে (ঐশ্বরিয়া) জিততে দাও। যদি তুমি মনে করো সে বিশ্বের সেরা সুন্দরী, তার কাছে হেরে যাও। তার আগে তোমার সর্বোচ্চ উজার করে দাও।’

ব্যক্তি জীবনে সুস্মিতা সিঙ্গেল মাদার। ২০০০ সালে রেনে এবং ২০১০ সালে আলিশা নামের মেয়েকে দত্তক নেন তিনি।