ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ফেসবুকে ‘নগ্ন’ ছবি দিয়ে বিপাকে বাংলাদেশি মডেল!


৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৫

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত মাকসুদা আক্তার প্রিয়তীর একটি পোস্ট নিয়ে নতুন করে সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন রাজধানীর ফার্মগেটে বেড়ে ওঠা এই মডেল। কিন্তু নিজের করা এই পোস্টেও অনেকের সমালোচনার শিকার হন তিনি।

গত ১ সেপ্টেম্বর নিজের ছবিসহ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন মডেল প্রিয়তী। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আইরিশরা আমার খুঁত ভরা বাদামি বর্ণের শরীরকে ভালোবাসে, মুগ্ধ হয়। তাদের প্রশংসায় আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, নিজের খুঁত ভরা শরীরকে ভালোবাসতে শেখায়। এভাবেই আমি হয়ে উঠতে থাকি একটি বারুদ রূপী মানুষ!’ মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত প্রিয়তীর এই ছবিকে ‘নগ্ন’ আখ্যা দিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন।


এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর নিঝুম মজুমদার নামের এক চিত্রগ্রাহক নিজের ফেসবুক পাতায় মডেল প্রিয়তীর ওই ছবিটি পোস্ট করেন। এবং সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে বিশাল একটি পোস্ট দেন। পরে গতকাল শুক্রবার নিঝুমের সেই পোস্টটি শেয়ার করে সমালোচনাকারীদের কড়া জবাব দিয়ে লেখেনঃ

“ওই সমাজের বিপরীতগামী প্রথা আমি ত্যাগ করেছি অনেক বছর আগেই, যার জন্যই নতুন প্রিয়তীর জন্ম হতে পেরেছিল। বাকি রইলো কৃষ্টি-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, তা বুকে ধারন করি, লালন করি। তার জন্য আমাকে প্রমাণ দেখাতে হবে না। আঠারো বছর আগে দেশের যেই সংস্কৃতি, সমাজের মেজাজ, চরিত্র তা এখনো খুঁজে ফিরে বেড়াই। কিন্তু বাস্তবে তো কতো কিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।

বেশ কয়েকমাস আগে প্রিয় বন্ধু নিঝুম মজুমদার এক আড্ডায় বলেছিল, ‘পিতা-মাতার কোনো সন্তান অল্প বয়সে মারা যায়, সেই পিতা-মাতার দিনদিন বয়স বাড়লেও উনাদের মৃত সন্তানের কিন্তু বয়স বাড়ে না।’ ঠিক তেমনি, দেশ থেকে যারা বিদেশে মাটিতে পাড়ি জমায়, তারাও দেশকে যেমন অবস্থায় রেখে গিয়েছিল, উনারা মনে করেন দেশ ওই আগের জায়গায় আছে বা ওই একই অবস্থানে দেখতে চায়। অর্থাৎ উনাদের সময়টা একটা টাইম ফ্রেমে বন্দী, সেই টাইম ফ্রেমটা হতে পারে স্মৃতির। হয়তো এই কারণেই হুমায়ূন আজাদ অনেক বছর আগে মনে করেছিলেন এবং বলেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে বাঙালিরা বিশ বছরেরও বেশি পিছিয়ে আছে।’

তিনি বেঁচে থাকলে নির্ঘাত উনার স্টেটমেন্টটি বদলাতেন। কারণ বিদেশে নয় বরং বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষ ২০-৩০ বছর পিছিয়ে নয় পুরোপুরি মধ্যযুগীয় বর্বরতার যুগে চলে গেছে, যেখানে শুধু বর্বরদের চাষ হয়। মারিয়া সালাম আপুর কথাই ঠিক, ‘উন্নয়নের সাথে আমাদের মূর্খতা দ্বিগুণ বেড়েছে।’ পাশে থাকার জন্য কলিজা থাকতে হয় নিঝুম, কলিজা”।

প্রিয়তীর এই পোস্টেও অনেকজন ছবিটির সমালোচনা করেন। সাদ্দাম হোসেন নয়ন নামের একজন লিখেছেন, ‘শুধু আইরিশরাই ভালোবাসে, বাঙালিরা কি ভালোবাসে না? আমার মনে হয়, বাঙালিরা আরও বেশি ভালোবাসে৷ কিন্তু আইরিশদের মতো অত খোলামেলাভাবে প্রকাশ করতে পারে না।’

শাওন নামের এক আইডি থেকে লিখেছেন, ‘৬০০ টাকা নষ্ট করে প্রিয়তীর আয়না বইটা কেনাই ভুল ছিল। অ্যাটেনশন সিক করার জন্যই ভুলভাল লিখছিল। এই মহিলা তো উম্মাদ হয়ে গেছে। কী করছে, না করছে তার কোনো দিক-বিদিক নাই।’

নতুনসময়/আইকে