ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


‘ঢেলে দেই’ তাহেরির অজানা যত তথ্য


২৯ আগস্ট ২০১৯ ০১:২৪

ফাইল ফটো

‘চা খাবেন? ঢেলে দেই?’, ‘পরিবেশটা সুন্দর না?’, ‘কোনো হইচই আছে?’, ‘আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি?’, ‘বুঝলে বুঝ পাতা না বুঝলে তেজপাতা’-এ বাক্যগুলো এখন ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল।

মূলত এ বাক্যগুলো মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী নামের একজন বক্তার। একটি ওয়াজে নানা অঙ্গ-ভঙ্গিতে বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছিলেন তিনি। যার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ভিডিও নিয়ে অনেকেই হাসি-তামাশায় মেতেছেন।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামে। তার দাদা মৌলবি ফঈজ উদ্দিন ছিলেন পীর। তাহেরী দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, তাহেরীর মোট ৪ ভাই ও ৪ বোন রয়েছে। ভাইদের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। বিবাহিত তাহেরীর বয়স প্রায় ৩৬ বছর।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, তাহেরী দেশের বিভিন্নস্থানে ওয়াজ মাহফিল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ১০ থেকে ১২ দিন পরপর এলাকায় যান। স্থানীয় ফয়েজীয়া দরবার শরীফের পীর বলেও নিজেকে দাবি করেন তাহেরী।

এ বিষয়ে মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন বিডি২৪লাইভকে বলেন, ওয়াজ নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই ব্যস্ত থাকেন তাহেরী। বাড়িতে তেমন আসেন না। আসলেও বেশি থাকেন না। তবে এলাকার মানুষের সাথে তিনি ভালোই ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, তাহেরীর দাদা পীর থাকলেও তার বাবা পীর ছিলেন না। তবে তাহেরী নিজেকে পীর বলে দাবি করেন।

এছাড়াও চেয়ারম্যান বলেন, তার অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এগুলো আমি নিজেও দেখেছি। তবে এভাবে ওয়াজ করা তো ঠিক নয়। আমরা চাই এভাবে ওয়াজ না করে ভালভাবে ওয়াজ করুক। তাহলে আমাদের এলাকার মান-সম্মান থাকবে।

এর আগে ‘বসেন, বসেন, বসে যান’ বাক্য সম্বলিত তাহেরীর আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এই ভিডিওতেও নানা অঙ্গ-ভঙ্গিতে দেখা যায় তাহেরীকে। যা ছিল দৃষ্টিকটু।

এদিকে, এসব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী।

জানা গেছে, প্রতিটি ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের জন্য স্ব স্ব জেলার ডিসি কার্যালয়ের অনুমতিপত্র, থানা পুলিশসহ কয়েকটি দফতরে অবগত করতে হয়। তাহেরীর বিষয়ে ওয়াজ মাহফিলে অশ্লীল কথা ও অশ্লীল ভঙ্গি করার বিষয়টি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে এসেছে। এরপর থেকে দেশের কয়েকটি জেলায় তার ওয়াজ মনিটরিং করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেধে দেয়া কিছু নিয়ম মেনে ওয়াজের বক্তারা কথা বলছেন কি-না, সেটিও নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরীকে ফোন করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।