ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


মালদ্বীপ আবারও বাড়ানো হলো ১৪ দিনের লকডাউন


৩০ এপ্রিল ২০২০ ০১:৪৮

প্রতিকি

করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব এখন এলোমেলো। এ সংকটের প্রভাব পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের ওপরও। পর্যটননির্ভর দেশটিতে করোনার ভয়াবহ থাবা ফেলছে এবং লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দেশটি। এতে দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশিরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি সংকটে।

গেলো ১৫ এপ্রিল COVID-19 মালদ্বীপে প্রথম লক ডাউন ঘোষণা করা হয় ২৪ ঘন্টার জন্য। কিন্তু পরবর্তীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় রাজধানী মালেতে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটিতে গেল ১৭ এপ্রিল আরও ১৪ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করা হয়। সেই সুবাদে ১৪ দিনের লকডাউনের মেয়াদ কাল আগামীকাল শেষ। কিন্তু মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ব্যাপক আকারে দিনের পর দিন ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

২৯ এপ্রিল রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৫৬ জনে।যা বিগত দিনের চেয়ে বেশি।এই ২৫৬ জনের মধ্যে মালদ্বীপিয়ান হল ১০৪ জন,মোট বিদেশি ১৫২ জন,তারমধ্যে বাংলাদেশী ১১৫ জন,সুস্থ হয়েছেন ১৭ জন,মৃত্যুর সংখ্যা নেই। এ দিকে ১৪ দিনের লকডাউন আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে আজ বিকালে আবারও ১৪ দিনের লকডাউন বাড়ানো হয়েছে যা ১ম মে শুরু এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্তক ১৪ দিন কার্যকর থাকবে।এ সময় সকল মালে,হুলুমালে, ভিলিমালেতে পরিবহন সেবা স্থগিতকরণ করা হয়েছে।তবে জনসেবা মূলক কিছু পরিবহন সেবা চালু থাকবে।দিন দিন মালেতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কিছু কারনের মধ্যে অন্যতম কারণ সুপরিকল্পিত বা সুন্দর বাসস্থানের অভাব।এখানে বাংলাদেশী প্রবাসীরা এক রুমে সর্বনিম্ন হলেও ১০-১৫ জন,যা করোনা ভাইরাস ছড়াতে খুবই সক্ষম।একে তো মালদ্বীপে সুন্দর বাসস্থানের অভাব তার উপর আবার ১৪ দিনের লকডাউনে হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছে আবারও মালদ্বীপের বাংলাদেশী প্রবাসীরা।

কাজকর্ম না থাকায় তাদের খাদ্যের সমস্যা দেখা দিবে তাদের মধ্যে আবারও।অনেক বাংলাদেশী দের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের অনেকের দাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে তারা দেশে যেতে চায় এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছেও অনেকই দাবি রাখতে চাই তাদের যেনো দেশে ফেরত নিয়ে আসা হয়।মালদ্বীপে কিছু কিছু বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা নিজেদের উদ্যোগে যা পারছে কম বেশি প্রবাসীদের সহায়তা করছে।কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে,কতদিন মানবেতর জীবনযাপন করবে।

বাংলাদেশ দূতাবাস, এবং সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাচ্ছে মালদ্বীপের বাংলাদেশী প্রবাসীরা যাতে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের দিকে খেয়াল রাখে এবং যাতে দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে এটাই জোর দাবি রাখছে মালদ্বীপের মানবেতর জীবনযাপন প্রবাসীরা।