ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ইতালিতে বসবসরত ৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে যাচ্ছে সরকার


২০ এপ্রিল ২০২০ ২০:১৬

প্রতিকি

ইতালিতে বসবাসরত ৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে সরকার বৈধতা প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে ৬ মন্ত্রনালয়ের যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয় চাকরির বিনিময়ে বৈধতা প্রদান করা হবে।

যারা দীর্ঘদিন ইতালিতে আইনগত ভাবে অবৈধ বসবাস করছেন তারা যদি চাকরি জোগাড় করতে পারেন তবে বৈধতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক ভাবে এক বছরের জন্য নবায়নযোগ্য ডকুমেন্ট ‘পেরমেচ্ছ দি সোজন্য’ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতালিতে করোনা সংকট শুরু হওয়ার আগে সরকার এ বিষয়ক আলোচনা শুরু করেছিল, কিন্তু সংকটের কারনে এতদিন এর অগ্রগতি স্থগিত ছিল। সে সময়ে বলা হয়েছিল, চলতি বছরের বাজেট ঘাটতি পুরণের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ করা হবে। যাতে তাদের কাছ থেকে কর আদায় করা যায় এবং তা দিয়ে বাজেট ঘাটতি পুরণ করা যায়।

তিন ফসলের দেশ ইতালির কৃষি মৌসুম এ মাস থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু করোনা সংকটের কারনে গ্রীষ্মকালীন কৃষিসহ অন্যান্য কাজের জন্য বিদেশ থেকে অন্যান্য বছরের মতো সিজন্যাল শ্রমিক আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না, বিধায় বৈধকরণ চাকরির ক্ষেত্রে কৃষি কাজকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

বরাবরের মতো এবারও বৈধ করার ঘোষনাকে কেন্দ্র করে দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তাদের দ্বারা প্রতারিত না হতে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করুণ।
মনে রাখবেন, বৈধ করার এ ঘোষনা শুধুমাত্র ইতালিতে বসবাসরত ৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীর জন্য। এই ঘোষনায় নতুন করে ইতালিতে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের পরে এবারই ইতালির কোনতে সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনো অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।

এ ছাড়া ইতালিতে প্রতি বছর সিজন্যাল কাজের জন্য বিপুল সংখ্যক শ্রমিক আমদানি করা হলেও গত ১০ বছর যাবৎ বাংলাদেশের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়েছে।

অনেকে অভিযোগ করেন, এত দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের শ্রমিকরা কালো তালিকায় থাকার পেছনে আমাদের কূটনৈতিক ব্যার্থতা দায়ী। তবে এবার অন্তত আশা করবো আমাদের দূতাবাস সক্রিয় হবে। যারা বিভিন্ন কারনে পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা দেরি হচ্ছে তাদের অতি তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট প্রদান করা হোক। প্রয়োজনে বিশেষ ব্যাবস্থায় পাসপোর্ট এবং দরকারী কাগজপত্র সরবরাহ করা হোক। বাংলাদেশ দূতাবাসের অবহেলার কারনে যেন একজন অভিবাসীও বৈধতার এ সুযোগ থেকে ছিটকে না পড়ে।