ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


সৌদিতে হত্যার তিন মাস পর কফিনে এলো আবিরন মরদেহ


২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৩৬

নতুন সময়

সৌ‌দি আর‌বে হত্যার তিন মাস পর অবশেষে দেশে ফিরলো খুলনার মেয়ে আবিরন বেগমের মরদেহ। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর থেকে মরদেহ গ্রহণ করবে তার পরিবার।

সৌদি থেকে দেয়া আবিরনের মৃত্যু সনদে মৃত্যুর কারণ হত্যা লেখা। ত‌বে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি ফাতেমা এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (আরএল-১৩২১) প‌রিবার‌কে ব‌লে, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন আবিরন।

আবিরনের প‌রিবার বল‌ছে, সৌদিতে দুই বছর নানাভা‌বে নির্যাতিত হন আবিরন। এ বছরের ১৭ জুলাই গৃহকর্তার বাসায় মারা যান তি‌নি। মৃত্যুর ৫১ দিন পর খবর জানতে পারে তার পরিবার। প‌রে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগিতায় দূতাবাস ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে তার মরদেহ দেশে ফিরছে।

বিমানবন্দ‌রে আজ লাশ নেয়ার পর কাঁদ‌তে কাঁদ‌তে তাঁর ছোট বোন রেশমা জানায়, শুরুতে সৌদি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তা আবার বাতিল করেছিলেন আবিরন বেগম। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি ফাতেমা এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের চাপ ও হুমকির মুখে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে সৌদি যেতে বাধ্য হন আবিরুন। সেখানে গিয়ে নিয়োগকর্তার নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে।

সমস্যার কথা নিয়ে এজেন্সি ও দালালের কাছে গেলে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় পরিবারকে। এমনও বলে, এমন ব্যবস্থা নেব আবিরন আর কথাও বলবে না কোনোদিন। এজেন্সির হুমকির মুখে পরিবারও ছিল অসহায়।

আবিরনের পরিবারের সদস্যরা জানান, তার নিয়োগকর্তা আবিরুনের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাকে মেরে ফেলেছে। এমনকি দুই বছরে কোনো বেতনও তাকে দেয়া হয়নি। মৃত্যু‌র পর তাদেরও জানা‌নো হয়‌নি।

প্রসঙ্গ,চলতি বছরে আজ পর্যন্ত ১১৯ নারীসহ ২৯০০ প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরেছেন । ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, আবিরনের পরিবার আমাদের জানায়, নিয়োগকর্তা তাকে হত্যা করেছে। কিন্তু লাশটি তারা আনতে পারছিলো না। আমরা যেন সহায়তা করি। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, যে নিয়োগকর্তার বাড়িতে ছিলেন শুরু থেকেই সেখানে নির্যাতিত হচ্ছিলেন। বারবার বলার পরেও কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা শুধু চাই এমনভাবে আর কেউ যেন স্বজন না হারায়।

নতুনসময়/এসএম