ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


শিক্ষার্থীরা না চাইলে শপথ নেবেন না ভিপি নুর


১৪ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫৭

শিক্ষার্থীরা না চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, যারা আমাকে ভোট দিয়ে পাশ করিয়েছেন তারা চাইলে আমি শপথ নেবো, আর তারা না চাইলে শপথ নেব না।

বুধবার বেলা তিনটার দিকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।এর আগে তিনিসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়ে গিয়ে আগামী শনিবারের মধ্যে ডাকসুর ‌প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাতিল চেয়ে স্মারকলিপি দেন।

বেরিয়ে এসে নুরুল হক নুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিয়ার মেসেজ পাওয়ার পর শপথের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়ার ওপর শপথের সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। তারা চাইলে শপথ নেব, না চাইলে নেব না।

নির্বাচনে কারচুরির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শত কারচুপির পরও আমাকে এবং সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে হারাতে পারেনি। তবে আমাদের প্যানেলের অন্যদের হারিয়ে দিতে পেরেছে তারা নীলনকশা করে। এখন আমরা দেখছি যে ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব সংগঠন পুনর্নির্বাচন চাইছে এবং সে লক্ষ্যে তারা আন্দোলন করছে।

ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ভোট দিয়েছেন। তারা এই নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচন চায়। আমি তাদের দাবির পক্ষে একমত। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত হয়ে সব পদে নির্বাচন চাই ৩১ মার্চের মধ্যে।’

ডাকসু ভোটের দিন সোমবার রোকেয়া হলে নিজের ওপর হামলার বিষয়েও কথা বলেন নুরুল হক। বলেন, ‘রোকেয়া হলের প্রভোষ্ট জিনাত হুদা ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারীকে ফোন দেন এবং তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল। তাদের লেডি মাস্টার বাহিনী রয়েছে, শোভন ভাইয়ের নেতৃত্বে তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল।’

বুধবার দুপুর ২টার দিকে তারা উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান নুরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যে প্রতিনিধি দল।এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডাকসু নির্বাচন বর্জন করা ৫ প্যানেলের নেতারা। এসময় তারা ডাকসু নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচন দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দেন।

এর আগে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ভিসির কার্যালয়ের সামনে এক বক্তৃতায় কোটা আন্দোলনের নেতা ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ব্যাপক কারচুরির পরও ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে দুটি পদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে হারাতে পারেনি ছাত্রলীগ। আপনাদের ভোটে আমি ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ মিলে আমার জয় আটকাতে পারেনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমি বলছি, আমি সাধারণ শিক্ষার্থী ও নির্বাচন বর্জনকারীদের সঙ্গে একমত। আমি ডাকসু নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচন দাবি করছি।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে দুটি ছাড়া সব পদে জয় পায় ছাত্রলীগ। ভোটের দিনই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল। এরা হলো- ছাত্রদল, বামজোট, ইসলামী আন্দোলন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এর পর থেকে তারা পুনর্নির্বাচন দাবিতে বিক্ষোভ করছে।

 

নতুনসময়/আইকে