ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ৩০শে ফাল্গুন ১৪৩১


বহিস্কৃত শিক্ষককে ফেরাতে নানা পাঁয়তারা অধ্যক্ষের


২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০৫

সংগৃহিত

এইচএসসি খাতা কেলেঙ্কারীর ঘটনায় বহিস্কৃত হওয়া কলেজ শিক্ষককে পূণরায় ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ। এমনকি ওই শিক্ষককে মূল বেতনের অর্ধেক দেয়া হচ্ছে। বিপুল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে শিক্ষককে পূণরায় ফেরাতে নানা চেষ্টা ও তদবিরে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। খোদ কলেজের শিক্ষকরা বলছেন, অনিয়মের অভিযোগ প্রমান হওয়ার পর ওই শিক্ষকের আর চাকুরিতে থাকার কথা না অথচ অধ্যক্ষ তাকে ফেরাতে প্রকাশ্যই নানা তদবির চালাচ্ছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর শাহমুখদুম কলেজে।

কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বহিস্কৃক শিক্ষক মাসুদুল হাসানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান। তিনি তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা তাকে বলেছি আদালতেরযুক্তিসঙ্গত কোন আদেশ আনলে আমরা তার আবেদন বিবেচনা করবো।

জানা যায়, ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয়পত্রের ১০০ খাতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হল থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, ওই খাতাগুলো শাহমুখদুম কলেজের প্রভাষক মাসুদুল হাসানের দেখার কথা। বিষয়টি নিয়ে সেই সময় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে মামলা দায়ের করা হয় এবং তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে গোপনে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ আঁতাত করে তার মূল বেতনের অর্ধেক প্রদান করছেন। এবং ইএফটিতে ( ইলেট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফরমার) তার মামলা ও বহিস্কার বিষয়ে কোন তথ্যই দেয়া হয়নি। সেই সাথে তাকে পূণরায় নিয়মিত করাতে নানা ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই কলেজের শিক্ষকরা বলছেন, অধ্যক্ষ যা করছেন বা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন এটা রিতিমত অন্যায়। তাকে বাঁচাতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।

তারা বলেন, প্রভাষক মাসুদুল হাসান যা করেছেনওই মামলায় তার সাজা হয়ে যাবে। কিন্তু অধ্যক্ষ তাকে বাঁচাতে নানা তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন।

এর পেছনে বড় অঙ্কেও আর্থিক লেনদেন রয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।