ঢাকা শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল ২০২৫, ২৯শে চৈত্র ১৪৩১


ইতিকাফে না বসায় মাদ্রাসা ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ


৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৫

ছবি : নতুন সময়

ইতিকাফে না বসায় মো: ইয়ামিন (১৩) নামের এক মাদ্রাসার ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষক মো: হাবিবের বিরুদ্ধে। ইয়ামিন চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে দুলারহাট থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মঙ্গলবার (২ মে) ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাটের আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।

ইয়ামিন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। সে আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। অভিযুক্ত মো: হাবিব ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।

মাদ্রাসা ছাত্র ইয়ামিন ও তার বাবা মোহাম্মদ হোসেনের অভিযোগ, ইয়ামিন আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। তার মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতি শামিম ওমরাহ হজ্ব করতে সৌদি আরব গিয়েছেন। ইয়ামিনকে ২০ রমজানে ইতিকাফে বসতে বলেন মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিব। ইয়ামিন ইতিকাফে না বসে বাসায় চলে যান এবং ২০ রমজান রাতে বাসায় থাকেন।

সোমবার সকালে ইয়ামিন মাদ্রাসায় আসলে শিক্ষক হাবিব টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বেধরক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত করে ফেলেন।

আহত অবস্থায় ইয়ামিনকে সোমবার তারারির পর থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় আবদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক হাবিব। মঙ্গলবার বিকালে ইয়ামিনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন খবর পেয়ে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং দুলারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হাবিব পলাতক থাকার কারনে তার কাছ থেকে কোন বক্তব্য জানা যায়নি।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম জানান, মাদ্রাসার ছাত্র ইয়ামিনকে মারধর করার কারনে সহকারী শিক্ষক হাবিবকে মাদ্রাসা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মোহতামিম সাহেব সৌদি আরব থেকে ওমরাহ হজ্ব করে দেশে আসলেই হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নতুনসময়/এএম


ইতিকাফ, মাদ্রাসা, ছাত্র, নির্যাতন, শিক্ষক