ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উচ্ছৃঙ্খলা গ্রহণযোগ্য নয়’


১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:০৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত নিজেদের খরচে নিজেরাই চলে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ খরচ সরকার বহন করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এত কম খরচে পড়াশোনা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। কাজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উচ্ছৃঙ্খলা গ্রহণযোগ্য নয়।

শনিবার বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ৭ মার্চ ভবনের উদ্ভোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে পড়াশোনা করতে হবে সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা চাই আমাদের ছেলে মেয়েদের জীবনমান সকল দিক থেকেই এগিয়ে নিয়ে যাক, আমাদের তো সময় শেষ, বয়সও হয়ে গেছে, আর কতো দিন? কিন্তু এর পরের যে প্রজন্ম আসবে তারা যেন বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করে।

শিক্ষায় বাজেট প্রনয়ণ সম্পের্কে শেখ হাসিনা বলেন, বাজেট করতে গেলে অনেক কথা আসে, অনেক কিছু বলতে হয়, করতে হয় তো আমি সব সময় একটি কথা বলি যে শিক্ষায় আমরা খরচ করব তা আমি কখনোই খরচ হিসেবে মনে করি না, আমি মনে করি এটা আমাদের বিনিয়োগ যা আমাদের দেশ গঠনে কাজে আসবে। এজন্য আমি চাইব শিক্ষকেরা যেমন শিক্ষা দেবেন শিক্ষার্থীদেরও তেমনি উপযুক্ত হয়ে শিক্ষা নিতে হবে।ৎ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীন জাতি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা আন্দোলন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছে এজন্য স্বাভাবিক ভাবেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একটু বেশি দাম পায় কিন্তু এর মানে এটা নয় যে আমরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েকে অবহেলা করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে বেগম রোকেয়া হলে ছাত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ নিয়ে নিজের শিক্ষা-জীবনের কথা স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দুঃখ আছেন মনে, দুঃখটা সেটাই, আমার বাবাও তার পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আর আমার ভাগ্যে জুটেছিল এটা যে, আমি যখন ১৯৭৫ সালে জার্মানিতে চলে যাই, (হত্যাকাণ্ডের) মাত্র ১৫ দিন আগে আমি দেশ ছেড়েছিলাম । এরপর আর ছয় বছর দেশে ফিরে আসতে পারি নাই। আমি মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু তা আর সমাপ্ত করতে পারি নাই। আমার সেই শিক্ষা অধরাই থেকে গেল। এই দুঃখটা আমার মনে সবসময় আছে, থাকবে।’

এমএ