ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির দাবি


৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০৩

ছবি সংগৃহিত

সৈয়দ এ আজমের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। চাকরি করছেন লক্ষ্মীপুরের একটি কলেজে। তিনি বলেন, ‘হয়তো অনেকেই জানেন না, দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে বদলির ব্যবস্থা থাকলেও একমাত্র এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোনো বদলির ব্যবস্থা নেই। বদলির ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের জীবনটা অনেকটাই যাযাবরের মতো।’

দ্রুত বদলি বাস্তবায়নের দাবিতে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমনপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান মানববন্ধনকারীরা।

সৈয়দ আজম বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে ধরে আমি চাকরি করছি। চাকরির কারণে আমার বাবা-মা গ্রামে থাকেন। তারা অসুস্থ, বৃদ্ধ। আমি দূর থেকে তাদের আত্মচিৎকার উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু কিছুই করার থাকে না। এটা যে কত কষ্টের, যারা বাইরে আছেন, বিভিন্ন জেলায় চাকরি করছেন, তারাই বলতে পারবেন।’

তার অভিযোগ, ‘এই চাকরিতে বদলির ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় শিক্ষকরা কখনও সিন্ডিকেট তৈরি করে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষকদের নির্যাতন করে তারা। সিন্ডিকেটের আওতায় শিক্ষকরা পড়লে তাদেরকে মানুষও মনে করা হয় না অনেক সময়।’

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা মডেল কলেজে শিক্ষকতা করেন নীলফামারীর ডোমরা উপজেলার মো. ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে সরকার কার্যকর করা হওয়ার কথা বলছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের এ লক্ষ্যে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের দাবি, ২০২০ সালের মধ্যে এই আইন কার্যকর করুক সরকার। কিন্তু তার আগে আমাদেরকে আশ্বস্ত করতে এ লক্ষ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।’

ফরহাদ হোসেন জানান, তার মা নেই, বাবা আছেন। দূরে চাকরি করার কারণে বাবার ঠিকঠাক খোঁজখবর রাখতে পারছেন না। অন্যদিকে তার ১৬ হাজার টাকা বেতনের ৫ হাজারই চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। স্বল্প বেতন ও দূরে কর্মস্থল হওয়ায় বিয়ে করার সাহসও করতে পারছেন না। এই বেতনে গ্রামের বাড়িতে থেকে চাকরি করতে পারলে তার সমস্যারই সমাধান হবে। এ রকম অনেকেই সমস্যায় রয়েছে। বদলির ব্যবস্থা থাকলে তারা অনেকেই উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন।