স্মার্টফোন আমদানির উপর আরোপিত ২৭ পার্সেন্ট বর্ধিত কর প্রত্যাহারের দাবি
 
                                ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানির ওপর আরোপিত ২৭ পার্সেন্ট বর্ধিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন বিএমবিএ।
বুধবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন বিএমবিএর সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, মোবাইল ফোন আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক ও কর আরোপের ফলে দেশের বাজারে অর্থনীতিতে ক্ষতির প্রভাব পরবে। জনগণ মোবাইল ফোন ব্যবহার কমিয়ে দিবে। যার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কমে যাবে আর এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষতির প্রভাব পড়তে পারে। কর আরোপের ফলে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের অবৈধ মোবাইল সেটের সংখ্যা ৩ কোটি। একটি স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ৩০০০ টাকা ধরলে শুধু এই অবৈধ মোবাইল সেটের কারণে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা।
স্মার্টফোন আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে অবৈধ আমদানি আরো বেড়ে যাবে যার ফলে বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার হতে পারে এতে সরকারের বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হব।
মোবাইল শিল্পের সাথে দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত স্মার্টফোন আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৭ শতাংশ করারোপ করলে চাকরীচ্যুত হবে হাজারো মানুষ অনিশ্চয়তায় পড়বে লাখ পরিবার তাই স্মার্টফোন শিল্পের সাথে জড়িত এসব মানুষ ও তাদের পরিবারের মানবিক দিক বিবেচনা করে এ কর আরোপ বন্ধ করার অনুরোধ করছি।
বাজারের অস্থিরতা সৃষ্টি হবে দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত শুল্কের বর্ধিত হার কার্যকর হলে চোরাইপথে মোবাইল ফোন আমদানি বেড়ে যাবে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হবে। যার ফলে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হব।
এ সময় বিএমবিএ প্রস্তাব তুলে ধরেন, তাদের প্রস্তাবটি হলো ২০১৯ ও ২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্টফোন আমদানির ওপর আরোপিত বর্ধিত কর প্রত্যাহার করতে হবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

 
                 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        -2024-09-02-09-55-40.jpg) 
                                                         
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            