ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান


১ মে ২০১৯ ০৩:২৭

ফাইল ফটো

আসন্ন রোজায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যসামগ্রীর যোগান ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এই বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বলেন, প্রতিবছর রমজান এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের মজুদ ও এর মূল্য নিয়ে। এছাড়া ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য নিয়েও আতঙ্ক থাকে। তাই এবার রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সেমাই তৈরির কারখানাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া রমজানের শুরু থেকে বাজার দর মনিটরিং করবে জেলা প্রশাসন।

এ সময় বাজারে মূল্য তালিকা না থাকলে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ পণ্যের মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কোনো অবস্থাতেই ভেজাল পণ্য তৈরি বা বাজারজাত করা যাবে না। কেউ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে যেসব পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে তা ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের।

সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের সংকট নেই। বিভিন্ন কারণে চিনির দাম একটু বেশি আছে। তবে সরবরাহ বাড়লে মূল্য কমে আসবে। এছাড়া পাইকারি ও খুচরা বাজারে চাল, ডাল, তেল, লবণ, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ ও মশলাসহ অন্য সব পণ্যের মূল্যই বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। রমজানেও তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন রাজশাহীর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

এ সময় রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজশাহীর ডিসির কাছে মহানগর ও জেলায় টিসিবির পণ্য বিক্রির পয়েন্ট আরও বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। সবার দাবির কথা বিবেচনা করে এ ব্যাপারে আলোচনা করে কুব দ্রুতই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রাজশাহীর ডিসি।

সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া সভায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ, বেনতি ব্যবসায়ী, কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতি, মার্কেট ব্যবসায়ী ও মুদি ব্যবসায়ী, আড়তদার, চাল ব্যবাসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।

নতুনসময়/এসআই