ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


‘গ্রামীন অর্থনীতিতে অবদান রাখা সীমান্ত ব্যাংকের লক্ষ'


১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৫১

সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মুখলেসুর রহমান বলেছেন, গ্রামীন অর্থনীতিতে অবদান রাখাই সীমান্ত ব্যাংকের লক্ষ। সীমান্ত ব্যাংক গ্রামীন অর্থনীতিতে মনোনিবেশ করছে। সেই জন্য আমরা শহর ভিত্তিক ব্যাংক থেকে বেশি ফোকাস করছি গ্রামীন অর্থনীতির দিকে। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের বেশ কিছু রুরাল ব্রাঞ্চও খুলতে সক্ষম হয়েছি। সামনে আরও রুরাল ব্যাংক আসছে।

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সীমান্ত স্কয়ার ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে ব্যাংকটির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মুখলেসুর রহমান বলেন, আমি গ্রামে যেয়ে যেয়ে কৃষকদের হাতে ঋণ দিয়েছি। বিজিবির সহায়তায় আজকে আমরা গ্রামের দিকে এগোতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশা করি আরও গ্রাহক পাব, নতুন শাখা হবে। টেকনোলজি বেইজড ব্যাংকিং এ আমরা এগিয়ে যাব”।

ঋণ খেলাপি নিয়ন্ত্রন করে এগিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পিছুটানও আছে। আমাদের অনেক ক্ষতিও হয়েছে ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেটাকে আমাদেরকে আয়ত্তে আনতে হবে। তাই বলে একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

ঋণ প্রশ্নে এক সাংবাদিকের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এগ্রেসিভ ব্যাংকিং করছিনা আমরা প্রগ্রেসিভ ব্যাংকিং করছি। ঋণ আমরা খুব ভেবে চিনতে দিচ্ছি। আমরা খুব সাবধানে আগাচ্ছি। এছাড়াও গ্রামীন অর্থনীতির জন্য আমরা রুরাল ব্যাংকিং মডেল বানিয়েছি।

গত দুই বছরে ব্যাংকটির ১৩টি শাখা স্থাপিত হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬টি, ময়মনসিঙ্ঘ বিভাগে ২টি, খুলনা বিভাগে ১টি, রংপুর বিভাগে ১টি ও সিলেট বিভাগে ১টি শাখা রয়েছে।

উল্লেখ্য, 'সীমাহীন আস্থা' এই স্লোগ্নানকে সামনে রেখে বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর মালিকানায় ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত ব্যাংকটির যাত্রা শুরু করে।