ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ক্রেতাদের মাথায় হাত, পেঁয়াজের কেজি ৩১০ টাকা!


১৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৮

স্মরণকালের সকল রেকর্ড ছাপিয়ে জেলা শহরের খোলা বাজারের পেঁয়াজের বাজারে আগুন। যেখানে শহরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় ঠিক সেই সময় মেহেরপুর জেলার হাট-বাজারগুলোতে পেঁয়াজের কেজি নেয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের মজুতও প্রচুর তারপরও কেন দফায় দফায় দাম বাড়ছে তার কোন সদুত্তর মিলছে না ব্যবসায়ী আর আড়ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

জেলার গাংনী উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, তারা সরাসরি আড়ত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন। মোকামেই পেঁয়াজের দাম পড়ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি ফলে সেখান থেকে আনতে গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ পড়ে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা ফলে তার পাইকারী বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা কেজি।


তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম মোকামেই বেশি হওয়ায় তাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে ফলে দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি না পেলে হয়তো চলতি সপ্তাহে ৩শ টাকার উপরে পেঁয়াজের দাম উঠবে।

বাজার করতে আসা ক্রেতা সোয়েব আলী বলেন, তিনশত টাকা দামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এটা অস্বাভাবিক। এত দামে পেঁয়াজ কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে এক কেজির পরিবর্তে এক পোয়া কিনতে বাধ্য হলাম।

তিনি অভিযোগ করেন, পত্রিকায় দেখলাম পেঁয়াজের দাম একশ টাকার নিচে নামার আপাতত কোন সম্ভাবনা নেই। এর পর থেকেই রংপুরের বাজারে পেয়াজের দাম বাড়া শুরু হয়েছে।

এদিকে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগের। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করছি। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবসায়ী সমিতির সাথে মিটিং করেছে। খুব শ্রীঘ্রই বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছি।

 

নতুনসময়/আইকে