পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকায় উঠেছে

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি (দেশি ও আমদানি) পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকায় উঠেছে। তবে ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
আর এ খবর চট্টগ্রামে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে খাতুনগঞ্জের আড়ত থেকে ‘উধাও’ হয়ে গেছে পেঁয়াজ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আড়তগুলো কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি করলেও সন্ধ্যায় দেশের সবচেয়ে বড় এই পাইকারি আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে মিয়ানমার, চীন, মিসর, তুরস্কসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে কিছু কিছু ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রপ্তানির ওপর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। গতকাল রবিবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। দেশটির ডিরেক্টর অব ফরেন ট্রেড তাদের নির্দেশনায় জানিয়েছে, ‘পেঁয়াজ রপ্তানি নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলো।’
আমদানিকারকরা জানান, গতকাল হিলিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। আগে তা ছিল ৬০-৬২ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার আগে মাত্র ১৪ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে। এর পর থেকে আর কোনো এলসি খোলা সম্ভব হয়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলেও তাতে কিছুদিন সময় লাগবে। মিয়ানমার থেকে জাহাজে করে পেঁয়াজ আনতে হলেও অন্তত ১০ দিন সময়ের প্রয়োজন।
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে খোলাবাজারে। তবে তা সীমিত আকারে হওয়ায় বাজারে এর খুব একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।
নতুনসময়/আইকে