ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখে ভাবিকে খুন!


১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৩৬

গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাসিনা বেগম গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরে তার ঘরের পাশে রান্নাঘরে খাওয়ার পানি গরম করতে যায়। এই অবস্থায় দেবর ফরহাদ হোসেন লিমন টিভি দেখার কথা বলে তার ঘরে যায়। পরে হাসিনা বেগম নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে লিমন ঘুমন্ত অবস্থায় দুই হাত দিয়ে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে তাঁর ভাবিকে হত্যা করে। পরে তাঁর শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল নিয়ে হাসিনার লাশ বাসার বাইরে আরেকটি কক্ষে তালা দিয়ে রেখে পালিয়ে যায় লিমন।

চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায় ভাবিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে দেবর মো. ফরহাদ হোসেন লিমন (২২)।

সোমবার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নগরীর আকবর শাহ থানার কালিহাট এলাকার ইদ্রিস সওদাগরের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন পোশাক শ্রমিক হাসিনা বেগম। তার স্বামী সৌদি প্রবাসী এবং একমাত্র ছেলে আবির হোসেন (১২) নগরের নেছারিয়া মাদরাসার হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে। ওই ভবনেই আলাদা বাসায় ভাড়া থাকতেন তার দেবর লিমন।

অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বলেন, রিমান্ডে আসামি লিমন জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় তার ভাবির কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় তার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন লিমন। এছাড়া সে নিয়মিত ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখতেন। সেখান থেকেই ভাবিকে খুনের পরিকল্পনা মাথায় আসে লিমনের।

তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন গত ৭ ফেব্রুয়ারি গার্মেন্ট থেকে বাসায় ফিরে রান্নাঘরে পানি গরম করতে যান হাসিনা বেগম। এই অবস্থায় হাসিনার দেবর লিমন টিভি দেখার কথা বলে তার রুমে প্রবেশ করেন। পানি গরম করে হাসিনা বেগম নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে লিমন ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধে হাসিনা বেগমকে হত্যা করে। হত্যা করার পর তার শরীরে পরিহিত স্বর্ণালংকার, মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন।