ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

বরখাস্তের পরেও দ্বায়িত্ব পালন করছেন আরএমপির হেডমোহরার শাহ আলম


১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১৬

ফাইল ছবি

বিভাগীয় মামলার প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর তা হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত আদেশের মেয়াদ না বাড়ার পরেও নিয়মিত ডিউটি করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত হেড মোহরার কাজী শাহ আলমের বিরুদ্ধে।

তিনি আরএমপির মতিহার জোনে কর্মরত রয়েছেন। চলতি বছরের ২ জুলাই তার বরখাস্ত হওয়ার স্থগিতাদেশ এর মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু শাহ আলমের দাবি, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তিনি হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন। কিন্ত তিনি তা দেখাতে পারেন নি। স্থগিতাদেশ এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় আরএমপির পক্ষ থেকে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে আইন কর্মকর্তার পরামর্শ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। সেখানে বিভাগীয় মামলার কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কে পরবর্তী দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, আরএমপির হেডমোহরার কাজী শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়। মামলা নং-০৬/২০১৫। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিভাগীয় মামলার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলা করলে হাইকোর্ট বিভাগ প্রথমে তিন মাসের জন্য পরে বিভিন্ন মেয়াদে সেই স্থগিতাদেশ এর মেয়াদ বাড়ে।

সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের হেড মোহরার কাজী শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়। মামলা নং-০৬/২০১৫, তারিখ-২৩-১২-২০১৫। এর প্রেক্ষিতে গুরুদণ্ড হিসাবে চাকুরী থেকে বরখাস্তের (Dismissal) সাময়িক আদেশ (provisional Order) দেয়া হয়। যার স্মারক নং-আরএমপি/প্রশা/ অভিযোগ/১-৭৪/২০১৫/২৩৭৮ তারিখ-৩/০৮/২০১৭। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে তিনি বিভাগীয় মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলা নং-১৫৩/২০১৭ করলে হাইকোর্ট বিভাগ তিন মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে স্থগিতাদেশ প্রদান করে। পরে স্থগিত আদেশের সময়সীমা ১ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ২/০৭/২০২০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়। ৩ জুলাই স্থগিতাদেশ এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় কাজী শাহ আলম হাইকোর্টের আইনজীবীর একটি প্রত্যয়ন পত্র অফিসে প্রেরণ করেন।

প্রত্যয়নপত্র উল্লেখ করা হয়, করোনা মহামারীর কারণে হাইকোর্ট বিভাগ স্থগিতাদেশের সময়সীমা বর্ধিত করেনি। হাইকোর্ট বিভাগ কার্যক্রম শুরু করলে স্থগিতাদেশের সময়সীমা বর্ধিতকরণ এর অনুমতি গ্রহণ করে যথা সময়ে জানানো হবে। কিন্তু ওই প্রত্যয়ন পত্র আরএমপির কার্যালয়ে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রেরিত হয়নি বলেও জানা গেছে।

এদিকে, নতুনভাবে কোন স্থগিতাদেশ না পাওয়ার পরেও হেডমোহরার নিয়মিত অফিস করছেন।

এ বিষয়ে আরএমপির হেডমোহরার কাজী শাহ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার পক্ষে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যে, আগের অবস্থাতেই থাকবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত। তার স্থগিতাদেশ এর কপি দেখাতে বলা হলে তিনি তা দেখাতে পারেন নি।

এ বিষয়ে প্রধান সহকারী মো: জুলমাত হাবিব বলেন, শাহ আলম হেড কোয়ার্টারে আবেদন করেছে। তার চাকুরী এখন অবৈধ। এখনো তিনি ডিউটি করছেন। সরকারী বিধি মোতাবেক তার চাকুরী এখন নাই।

আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, কোর্ট বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছেনা। পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আইন কর্মকর্তার পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।