ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১

৮০ হাজারে জাল জাতীয় পরিচয় পত্র !


১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৬

সংগৃহিত

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলনে সহায়তাকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ সুমন পারভেজ (৪০), মোঃ মজিদ (৪২), সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর (৩২), মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৬) ও মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট ১২টি জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়।

শনিবার রাতে মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের ডি-ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ব্যাংকের লোন নিয়ে কেউ ঋণ খেলাপি হলে তাদের সিআইবি খারাপ হয় ফলে পুনরায় তারা ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন না। তখন গ্রেফতারকৃত সুমন ও মজিদ লোন পাশ করে দিবে মর্মে প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির জন্য প্রত্যেকের নিকট হতে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করতেন। পরবর্তী সময়ে লোন পাশ হলে লোনের সমূদয় টাকার ১০% হারে দিতে হবে মর্মে চুক্তি করতেন। চুক্তিতে একমত হলে তারা প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে দিতেন। পরে লোন পাশ হলে চুক্তি অনুযায়ী লোনের সম্পূর্ন টাকার ১০% হারে নিয়ে নিতেন। এ জাল পরিচয় পত্র তৈরি করে দিতেন তাদের অপর সহযোগী গ্রেফতারকৃত সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকটি জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতেন।

সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম ই-জোন কোম্পানীর মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করার কারণে তারা নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে পারতেন।

তারা এ পন্থা অবলম্বন করে এমন অনেককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন করে দিয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডের থানায় মামলা রুজু হয়েছে।