ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের দাফন সম্পন্ন


৮ অক্টোবর ২০১৯ ২২:১০

ছবি সংগৃহিত

নিহত বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাসার সামনে আবরারের তৃতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আবরারের জানাযায় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

কুষ্টিয়ার আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম এই জানাজা পড়ান।

এদিকে মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ নিজ গ্রামে পৌঁছালে তা নিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজসহ স্বজনরা ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আবরার ফাহাদের মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আল-ইকরা জামে মসজিদের সামনে আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শত শত মানুষ এই জানাজায় অংশ নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে। সকাল ৯টার দিকে আবরারের মরদেহ তার নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে সকাল ১০টায় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষ হওয়া মাত্রই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা আবরার হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবি জানায়। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে রায়ডাঙ্গা গোরস্থানে আবরার ফাহাদকে সমাহিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।