ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

তিতাসের ঘোষকান্দিতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট


১৮ আগস্ট ২০১৯ ০৪:৫৩

তিতাসের ঘোষকান্দিতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট

কুমিল্লার তিতাসে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৫০ টি ঘর ভাংচুর, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ১৯ জুলাই শহিদুল্লাহ গ্রুপ ও হারুণ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১৬ আগস্ট দুপুর ১২ টার সময় প্রতিপক্ষ শহীদুল্লাহ গ্রুপের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি ঘরে নারকীয় তান্ডবলীলা চালায় শহিদুল্লাহ বাহিনী। শহিদুল্লার নেতৃত্বে বাড়ি ঘরে ভাংচুর, হামলা ও লুটপাট করে আক্তার, মনি, ফয়সাল, বাদশা, ফরহাদ, জামাল, মেহদী, শাকিল, তসলিম, সাহা, রুবেল, বাবু, ইয়াসমিন, সুমন, ফারুক, আলমগীর ও সাইফুল সহ ৭০-৮০ জনের একটি দল। তারা ঘরে থাকা দামী জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং মহিলাদেরকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন আহত হারুণসহ অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী। এ সময় আহত হন হালিমের স্ত্রী শিখু (৪০) সাদেকর স্ত্রী আমেনা (২৭) রুমানের স্ত্রী রত্না (২৫),আঃ রাজ্জাকের ছেলে আঃ হাকিম (৬৫), মৃত আয়েব আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (৪০) ও আঃ সালামের ছেলে শেখ ফরিদ (৪৫) প্রমুখ।

শহিদুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে আহত হন মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে জামাল (৩০), মুকবুল হোসেনের ছেলে ইয়ামিন ও শহিদুল্লাহর কলেজ পড়ূয়া মেয়ে রাহিমা (২০) প্রমুখ। আহতরা তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান শহিদুল্লাহর স্ত্রী মলেকা বেগম।

ঘটনাটি ঘটে ১৬ আগস্ট শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১২ টায় উপজেলার ঘোষকান্দি গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ওই গ্রামের মসজিদ নিড়মার্ণকে কেন্দ্র করে প্রথমে এক দফা ঝগড়া হয়। পরে ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। জায়গা জমিন নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং মামলা হয়। সাড়ে ২২ শতক জায়গাটি বর্তমানে দখলে আছে হারুণগংরা এবং তারা দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখলে আছেন। পরে জায়গাটি মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছেলে শহিদুল্লাহ গংরা তাদের বলে দাবী করেন।শহীদুল্লাহর স্ত্রী মলেকা বেগম বলেন, জায়গাটি আমার শ্বশুরের। আরএস, সিএস আমাদের নামে আছে।তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহিদুল্লাহ সহ ২ জন আটক আছে। এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, ঘটনাটি বড়ই দুঃখজনক। নিরীহ পরিবারগুলোর উপর এমন নগ্ন হামলার সত্যিই নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে কয়েকবার চেষ্টা করেছি মিমাংসা করার জন্য কিন্তু শহিদুল্লাহ সাহেবরা আমার ডাকে সাড়া দেননি।

অন্যদিকে তিতাস থানার এসআই সফিক সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও করতে বাঁধা প্রদান করেন। নিরীহ আঃ হাকিম ও আলাউদ্দিন কে বিনা অপরাধে আটক করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে আঃ হাকিম বলেন, বিনা কারণে আমাদেরকে আটক করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাস্তায় নিয়ে ছেড়ে দেয়। এসআই সফিক বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাদেরকে আটক করেছিলাম। পরে ছেড়ে দিয়েছি।