ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


৩৬ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির ১৮ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক


২৩ মার্চ ২০১৯ ২৩:৪৮

ফাইল ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের পুরানটেপরী এলাকায় সেতু হলেও নির্মাণ হয়নি দুই পাশের সংযোগ সড়ক। ১৮ বছর আগে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও, আজও সেতুর দুই পাশের সংযোগ হয়নি।

সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় জনগণের কোনো উপকারে না আসলেও পরিত্যক্ত এ সেতুটি একমাত্র এলাকাবাসির কাপড় শুকানোর কাজে ব্যবহারে আসছে।

এদিকে সেতুটির দু‘পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের অভাবে এ এলাকার ১৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এ ব্যাপারে চর-নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, সাইদুল ইসলাম, কেয়া খাতুন এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আব্দুস সেলিম জানান, চর- নরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরিনা হাইস্কুল, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ, সাতবাড়িয়া কারিগরি কলেজ ও চর-নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিদিন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ইউনিয়নের পুরান টেপরী গ্রামের আক্তার হোসেন ও জুলফিকার আলী জানান, ২০০০ সালের দিকে শাহজাদপুর উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে সেতুটি নির্মাণ করে। সেই থেকে গত ১৮ বছরেও পরিত্যক্ত এ সেতুটির দু‘পাশে কোন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ইতিমধ্যেই সেতুটির রেলিং ভেঙ্গে পড়ছে। অনেক স্থানের খোয়া বালি খসে খসে পড়েছে।

এছাড়া চর-নরিনা বাজার, নরিনা বাজার, সাতবাড়িয়া বাজার ও তালগাছি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিদিন ও সপ্তাহের দুইদিন যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে সেতুটির নিচ দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে পার হতে হয়। তাই অবিলম্বে এ সেতুটির দু‘পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি করে দেয়া হবে। এতে যদি না হয়, তবে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমূল হুসেইন বলেন, এলাকাবাসি এ বিষয়ে লিখিতভাবে আবেদন করলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।