ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


বেনাপোলে আবারও ইনজেকশান পুশের পর শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ


৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৫

 ইনজেকশান পুশের পর শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

স্থলবন্দর বেনাপোল নগরীর পুকুরপাড় মসজিদের সামনে শাহিন ফার্মেসী কাম গ্রাম্য চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল রাজ্জাক (বিআরএমএ) ও তার পুত্র শাহিনের অপচিকিৎসায় তানভির নামে তিন মাসের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ বিচারের দাবী করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।

গত শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। শিশু তানভির বেনাপোল ছোট আঁচড়া গ্রামের রিপন হাওলাদের পুত্র সন্তান ৷তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক।

ডাক্তার রাজ্জাক বলেন শিশুটিকে প্রথম দিন ঠান্ডা ও জ্বর দেখে সেভটাজিডিম ইনজেকশন হাফ ডোজ সহ অন্যান্য ঔষধ দেওয়া হয়।পরেরদিন সকালে আবার শিশুটিকে বাকী হাফ ডোজ ইনজেকশন দিতে আমার চেম্বারে নিয়ে আসলে আমি উপস্থিত না থাকায় আমার পুত্র শাহিন রোগী তানভিরের শরীরে ইনজেকশান পুশ করার সাথে সাথে শিশুটির শরীর হলুদ বর্ণ ধারন করে। তখন আমার পুত্র তাদের কে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তার কাছে প্রশ্ন করা হয় আপনি নিজে ডাক্তার তবে তার পুত্র শাহিন কেন ইনজেকশান পুশ করলো এই প্রশ্নের সে কোন উত্তর দিতে পারেনি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে তানভিরের পরিবার।

বেনাপোল পোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার শরীফ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আমরা এখনও পযন্ত কোন অভিযোগ পাইনি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন এবং ঘটনার সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

শিশু তানভিরের মাতা বৈশাখী হাওলাদার জানান, বৃহস্পতিবার আমার ছেলেকে একটি ক্লিনিকে সরকারী টিকা দেওয়ার পর সামান্য জ্বর ও কাশি শুরু হয় ,এমন অবস্থায় শুক্রবার আমরা রাজ্জাক ডাক্তারের চেম্বারে বাচ্চাকে পরীক্ষা করাতে গেলে ডাক্তার বলে ঠান্ডা কাশি ও জ্বর ঔষধ লিখে দিচ্ছি ঠিক হয়ে যাবে ৷এই বলে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র শাহিন নিজেই আমার শিশুর শরীরে এন্টিবায়োটিক হাফ ডোজ ইনজেকশান পুশ করে বাকী হাফ ডোজ নিতে আগামীকাল সকালে রোগীকে নিয়ে আসতে বলে। পরেরদিন (শনিবার) সকালে আবার আমার বাচ্চার অবস্থা খারাপ হওয়ায় খুব দ্রুত আমরা তাকে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে আসলে দেখি ডাক্তার নেই, তখন ডাক্তারের ছেলে শাহিন আবারো আমার পুত্র সন্তান তানভিরের শরীরে বাকী অর্ধেক এন্টিবায়োটিক ইনজেকশান পুশ করার সাথে সাথেই শিশু তানভিরের শরীর হলুদ বর্ণ ধারন করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। কিন্তু বিষয়টি আমরা বুঝতে না পারায় বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর রোগীর শরীর ঠান্ডা দেখতে পায়,তখন কান্নাকাটি করলে আশপাশের প্রতিবেশীরা দেখলতে এসে আমাকে জানায় তানভির মারা গেছে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সুত্রে জানা যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আইনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ লেখা যাবে না,শিশুদের ক্ষেত্রে বাকী অর্ধেক ইনজেকশান পুশ করার নিয়ম নেই। তারা আশংষ্কা প্রকাশ করেছেন শিশুদের ক্ষেত্রে পুরাতন রেখে দেয়া অর্ধেক ইনজেকশানই এই মৃত্যুর কারন হতে পারে।

সাধারন জনগনের সাথে কথা বললে তারা জানান এই রাজ্জাক ডাক্তারের কোন সার্টিফিকেট নাই তাহলে সে কিভাবে শিশুসহ অন্যান্য রুগীদের চিকিৎসা করে এবং তার পুত্র শাহীন প্রতিটা রুগীর কেন ইনজেকশান পুশ করে। এব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনসহ সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।