বাগমারায় কৃষি জমিতে অবাধে চলছে পুকুর খনন

রাজশাহীর বাগমারায় তিন ফসলি কৃষি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। উর্বর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এসব পুকুর খননে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই দিন-রাত চলছে খনন কার্য্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাড়িয়া ইউপির গাঙ্গোপাড়া গ্রামের মহিষের বিলে গভীর নলকূপ এরিয়ায় (জে এল নং-২৪৮) চলছে পুকুর খননের কাজ।গভীর নলকূপ এলাকায় দিঘী খনন করা হলে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হবে এবং ঐ এলাকার বিল পাশ্ববর্তী তিনটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, পকুরটি কাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, এলাকার প্রভাবশালী দক্ষিন সাজুড়িয়া গ্রামের তৈবুর রহমানের ছেলে মোঃ রব্বানী এবং ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মৃত রহিম বক্সের ছেলে আব্দুল গাফ্ফার। তারা ইতিপূর্বে ঐ দিঘী খনন করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের বাধার সম্মুখীন হন। ফলে সেই সময় তারা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।এঘটনায় বাগমারা উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর স্থানীয় প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক গনস্বাক্ষরের মাধ্যমে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।এরপরও তারা দিঘী খননের কাজ শুরু করার পায়তারা করছেন বলে জানা গেছে। খননকারিরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবসি তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাঙ্গোপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান,মহিষের বিলের তিন ফসলি প্রায় ১শ বিঘা কৃষি জমিতে রব্বানী ও গাফ্ফার দিঘী খননের চেষ্টা করছে। ইতিপূর্বে আমাদের বাধারমূখে তারা কাজ বন্ধ করে।এর দুই মাস পর আবার ও দিঘী খননের চেষ্টা চালাচ্ছে।স্থানীয়রা বলছেন, এই বিলে আবারও দিঘী খনন করতে গেলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিপূর্বে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে বাগমারার শ্রীপুর ইউপির এক আইনজিবী কতৃক হাইকোর্টে এক রিটের প্রেক্ষিতে, মহামান্য হাইকোর্ট বাগমারায় সকল প্রকার পুকুর খননে নিষেধাক্কা জারী করেন।কোর্টের নিষেধাক্কা ও এলাকাবাসির প্রতিবাদ শর্তেও ঐ বিলে বার বার পুকুর খননের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার একজন বাসিন্দা জানান,রব্বানী ও গাফ্ফার এলাকাবাসির আপত্তি শর্তেও এক প্রকার জোর করে অন্যের জমিতে পুকুর খননের চেষ্টা করছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:জাকিউল ইসলাম কে অবগত করা হলে তিনি যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
নতুনসময়/আইএ