ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১২ই বৈশাখ ১৪৩২


নারী পুলিশের আত্মহত্যা: চাকরি ছাড়তে মারধর করতেন স্বামী


৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১৬

ফাইল ফটো

বগুড়ায় বিষপান করে রোজিনা খাতুন (৩১) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন।


মঙ্গলবার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রোজিনার পুলিশে চাকরি করাটা তার স্বামী পছন্দ করতেন না। চাকরি ছাড়ার জন্য তাকে মারপিটও করা হতো। তিনি মাঝে মাঝে তার ফেসবুকে হতাশার কথা শেয়ার করতেন।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, পারিবারিক কারণে রোজিনা আত্মহত্যা করেছেন।

রোজিনা ধুনট থানার পুলিশের এএসআই। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা ঘেছে, রোজিনা খাতুন মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বাসায় বিষপান করেন। এ সময় তার মা ও বাবা বাসায় ছিলেন। তাকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ সালেহ জানান, রোজিনা বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেছিলেন।

জানা গেছে, রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন। পরের বছর একই গ্রামের আবদুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তিনি স্থানীয় দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এএসআই পদোন্নতি পাওয়ার পর গত বছরের ১৮ জানুয়ারি তিনি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশে একটি বাসা ভাড়া নেন। চাকরির কারণে স্বামী হাসান আলী সিংড়ায় থাকেন।

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এএসআই রোজিনার আত্মহত্যার কারণ অজ্ঞাত।

বগুড়ার ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আজিজ মণ্ডল জানান, বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে রোজিনার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে গত ৫-৬ বছর ধরে বিরোধ চলছিল। জামাতা হাসান আলী গত বৃহস্পতিবার এখানে আসেন এবং শনিবার চলে যান। এর পর থেকে রোজিনার মন খারাপ ছিল।

ধুনট থানার ওসি (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, তদন্ত করলে এএসআই রোজিনার আত্মহত্যার কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

নতুনসময়/ইমরান