ধর্ষকেরা সাবধান ‘হারকিউলিস’

বাংলাদেশে সন্দেহভাজন ধর্ষকদের হত্যার ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন গ্রিক পুরানের বীর হারকিউলিসের নাম ব্যবহার করে, কে এই হারকিউলিস; যারা ধর্ষকদের হত্যার পর গলায় চিরকুট ঝুলিয়ে রাখছে। যেখানে লেখা হচ্ছে, ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান- হারকিউলিস।
গত শুক্রবার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় গলায় চিরকুট ঝোলানো এক সন্দেহভাজন ধর্ষণকারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। ঝালকাঠিতে নিহত ধর্ষকের গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার...ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান- হারকিউলিস।’
ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টেটসম্যান এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, হারকিউলিসের নামে অভিযুক্ত সিরিয়াল কিলার বাংলাদেশের পুলিশকে ব্যস্ত রেখেছে। গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে অন্তত তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে; যাদের সবাই অভিযুক্ত ধর্ষক। এই ধর্ষকদের হত্যার পর তাদের গলায় চিরকুট লিখে রেখেছে।
শুক্রবার রাজাপুরে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যার গলায় কাগজে লেখা ছিল, ‘আমি রাকিব, আমি ভাণ্ডারিয়ার মাদরাসা ছাত্রীর... ধর্ষক। ইহাই একজন ধর্ষকের পরিণতি। ধর্ষকরা সাবধান...হারকিউলিস।’
নিহত যুবকের নাম রাকিব হোসাইন (২০)। ভাণ্ডারিয়ায় মাদরাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলার আসামি ছিলেন তিনি। নিহত রাকিবের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে হঠাৎ ধর্ষকদের হত্যায় হারকিউলিসের উত্থান নিয়ে জনমনে যখন প্রশ্ন; ঠিক সেই সময় দেশের বাইরের গণমাধ্যমেও আলোচিত হচ্ছে হারকিউলিস নিয়ে। পুলিশ এই হারকিউলিসের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
/আনু