চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে আরো একজন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হত্যার ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।এদিকে পুলিশ বলছে, এ ঘটনা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,নিহত সম্রাট সীতাকুণ্ড পৌরসদরের মধ্যম মহাদেবপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবুল হোসেনের পুত্র এবং আহত সাজ্জাদ পৌরসদরের নিজতালুক গ্রামের আলী রাজ্জাকের পুত্র। সীতাকুণ্ড ডাকাত শহীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দাউদ সম্রাট ও একই এলাকার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম প্রকাশের সাথে শত্রুতা ছিল। এর আগে তাদের মধ্যে প্রায়ই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় খুন-জখমও হয়েছে বেশ কয়েকজন এর আগে।
আজ সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভোলাগিরি এলাকায় ঐ ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি দাউদ সম্রাট ও যুবলীগের সদস্য মো. সাজ্জাদকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার বন্ধুরা রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চমেকে রেফার করেন। বিকেল ৫টার দিকে তাদেরকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্রাটকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীতাকুণ্ড থেকে দুই জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা অবস্থায় চমেকে আনা হয়। এখানে আনার আগেই সম্রাট মারা যান বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এ হত্যার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দাউদ সম্রাটের সাথে শহীদের পূর্ব থেকেই শত্রুতা ছিল। ইতোপূর্বে শহীদের এক ভাই সম্রাট এর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। শহীদের বিরুদ্ধেও থানায় একাদিক মামলা আছে। এ হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রকৃত খুনি আসামীদের খুজে গ্রেফতার করে আদালতে কাঠগড়ায় দাড় করাবো।