ঢাকা বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২


রাজশাহী-৫ আসনে নাদিমের প্রার্থীতা হাইকোর্টে বাতিল


১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:০১

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেও বাদ পড়লেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফা।

গতকাল সোমবার হাইকোর্টে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।

নাদিম মোস্তফা রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

তিনি এ আসনে দুইবার এমপি ছিলেন।

৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এই আসনের প্রার্থী হিসেবে নাদিম মোস্তফা ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডলকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়।

এই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে নাদিম মোস্তফার প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

তখন নজরুল ইসলামকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।

তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দলীয় চিঠিও দেয়া হয়।

প্রতীক বরাদ্দের দিন নজরুল এই চিঠি দাখিল করেন।

এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন নাদিম মোস্তফা।

সেখানে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এরপর প্রতীক বরাদ্দের দিন আবার নাদিম মোস্তফাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।

ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠিও দেয়া হয়।

নাদিম সেই চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করলে তাকেই দেয়া হয় ধানের শীষের প্রতিক।

এর ফলে বাদ পড়েন নজরুল। তবে নাদিমের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন নজরুল ইসলাম।

সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নাদিম মোস্তফার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে নাদিম মোস্তফার ধানের শীষ প্রতীক স্থগিত করে নজরুল ইসলামকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

বিচারপতি জেডিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রিট আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক রাজন।

তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্যারিস্টার রাজন জানান, শুনানিতে তিনি ছাড়াও মিনহাজুল হক চৌধুরী ও আসরাফ আলী অংশ নেন। আর নাদিম মোস্তফার পক্ষে অংশ নেন আঞ্জুমান আরা বেগম।

হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে আদেশ দেন।

জানতে চাইলে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদের বলেন, নাদিম মোস্তফার প্রার্থিতা বাতিলের খবর তিনি পেয়েছেন।

এখন হাইকোর্টের আদেশের কাগজের অপেক্ষা করছেন। কাগজ হাতে পেলেই নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাদিম মোস্তফা বলেন, হাইকোর্ট থেকে আমার বিরুদ্ধে যে আদেশ দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আপিল করবো।

এ জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

আশা করছি আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যাবে এবং আমি প্রার্থী থাকবো।

নাদিম মোস্তফা ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৫ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্ডল।

নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। এবার নতুন মুখ ডা. মনসুর রহমানকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।