রূপগঞ্জে হত্যাকান্ড :আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে সড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাহনা এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে রাসেল ভুইয়াকে।
সোমবার বিকেলে যাত্রামুড়া এলাকায় হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক, মান্নানসহ আসামীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। অবরোধের ফলে সড়কের উভয় দিকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীসাধারন।
পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাজাউল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।
নিহত রাসেল ভুইয়া উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকার মৃত আযাহারুল ইসলাম ভুইয়ার ছেলে। রাসেল ভুইয়া পুলিশে চাকুরি করতেন।
নিহতের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জানায়, গত ২১ নভেম্বর বুধবার সকালে মাহনা এলাকার মনির হোসেন নিজস্ব জমিতে দিয়ে ড্রেনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষ মান্নান মিয়া বাঁধা প্রদান করেন।
এ নিয়ে মান্নান মিয়াসহ তার লোকজন মনির হোসেনকে চর থাপ্পর মারে। মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনরা মনির হোসেনের বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেতে গিয়ে চরথাপ্পরের ঘটনা শুনে প্রতিবাদ করেন।
প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে মান্নান মিয়া, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিকসহ তাদের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় নারীসহ ১৫ জনের মতো আহত হয়। এদের মধ্যে রাসেল ভুইয়া ও সাইফুল ইসলামের নারী ভুরি বের করে দেয়া হয়।
দীর্ঘ ১২ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ০১ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে রাসেল ভুইয়া মারা যায়।
ঘটনার পর থেকে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনছেননা।
তাই বাধ্য হয়ে নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী যাত্রামুড়া এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেছেন।
আসামীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আরো বৃহৎ কর্মসুচী পালন করবে বলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হুশিয়ারী দেন।
নিহত রাসেল ভুইয়ার ৫ বছরের শিশু আব্দুর রহমান, স্ত্রী সোনিয়া খানম, ভাই আশ্রাফুল, সাইফুল ইসলামসহ এলাকাবাসী এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে।