ঢাকা বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২


‘সাইদুরের দ্বারাই মান্দাবাসীর কাংক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব’


২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৩৪

আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টির(জেপি) কেন্দীয় নেতা ও নওগাঁ জেলার আহব্বায়ক এ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান বকুল দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

তাঁকে নওগাঁ-৪(মান্দা) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

মান্দা উপজেলা জাতীয় পার্টির(জেপি) আহব্বায়ক মোজাম্মেল কবিরাজ জানান,দল থেকে সাইদুর রহমান বকুলকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এবং মনোনয়ন জমা দানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সে এই আসনে অন্যতম যোগ্য প্রার্থী।

তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তাঁর দ্বারাই মান্দাবাসীর কাংক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব।

এর আগে ২০১৪ সালে তিনি জেপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এবার তিনি আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সমর্থনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতি দ্বন্দিতা করার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

সাইদুর রহমান বকুল বলেন, ’আমি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। এ নিয়ে দলীয়ভাবে সমঝোতা চলছে।সমঝোতা হলে আমি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ গ্রহন করবো।”

তিনি বলেন,মান্দার মানুষ জানে”আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় কিভাবে বিএনপি- জামায়াতের হাতে নির্যাতিত হয়েছি।১৩ টি মামলার আসামি করে আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে মান্দা আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। তাদের কে আমি জোটের প্রার্থী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ করে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি।

আমার নেতৃত্বে মান্দা আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী এক সংগে ভোটের মাঠে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে।’মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৪ আসন।

ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ২২৬ জন।স্বাধীনতার পর সাতটি সংসদ নির্বাচনে এখানে জয়পায় আওয়ামীলীগ। দুইবার জিতে বিএনপি ও একবা জামায়াত প্রার্থী নির্বচিত হন।

মান্দা আওয়ামী লীগের এক সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান বকুল বর্তমানে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন।

তিনি উপজেলার তেুতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন।এছাড়াও স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি।

আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান সাইদুর রহমান বকুল। তাঁর পিতা মরহুম সোহরাব হোসেন মন্ডল বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠসহকর্মী ছিলেন এবং তিনি দির্ঘদিন তেতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।তাঁর বাবার হাত ধরে এলাকায় বহু নেতাকর্মী আওয়ামী রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন।

এলাকা বাসি সাইদুর রহমান বকুলকে যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে অভিহিত করেন।

তাঁর মা মৃত লতিফা বেগম বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউপির সাজুড়িয়া গ্রামের জমিদার মরহুম সাইদ শাহ’র মেয়ে।লতিফা বেগম মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে অত্র অঞ্চলে সুনাম অর্জন করেন।

তাই এলাকাবাসি সাইদুর রহমান বকুল কে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন।

তিনি ছাত্রজীবনে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রীয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

এর আগে বাগমারার তাহেরপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি।

এছাড়াও মান্দা ছাত্র ঐক্য সমিতির সভাপতি ছিলেন বকুল।

ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় ১৯৯২ সালে তেতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তিনি ১৩ বছর মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।এসময় দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি দলকে সংগঠিত করেন।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বাহিনীর হাতে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন বকুল। ঐ সময় ১৩ টি মামলার আসামী করা হয় তাঁকে ও তাঁর পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে।
২০০৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে দ্বন্দের কারনে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাইদুর রহমান বকুল।

২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান সাইদুর রহমান বকুল। মনোনয়ননা পেয়ে ১৪ দলের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টি(জেপি)তে যোগ দেন এবং গনতন্ত্র রক্ষার নির্বাচনে প্রার্থী হন ।
এবার মহাজোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করতে চান তিনি।

সে লক্ষে বেশ কিছু দিন ধরে নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছেন তিনি এবং মহাজোটের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রচারনা চালাচ্ছেন।

এমএল