তুচ্ছ ঘটনায় উত্তাল শার্শা

যশোরের শার্শার গোকর্ণ গ্রামে একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়ের বাবা জলিল গ্রুপের লোকজন ছেলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
জলিলের অভিযোগ, তার মেয়েকে ২য় বারের মতো আবারও ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে আলমগীর। আর আলমগীরের অভিযোগ জলিল আগের ঘটনায় দেড় লাখ টাকা চেয়েছিল সেই টাকা না পাওয়ায় মেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে আমাদের বাড়িতে এ হামলা চালিয়েছে। তার মেয়ের সাথে আমার বর্তমানে কোন সম্পর্ক নেই। এঘটনায় উত্তর শার্শায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে শুধু এঘটনা নিয়েই চলছে জল্পনা কল্পনা। টাকা না পেয়ে বিষ হারানো ঢোড়ার কামড় দিতে শুরু করেছে জলিল।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর রোববার সকালে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আলমগীর হোসেন ও লাবণী আক্তার প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে আশ্রয় নেয় মনিরামপুর উপজেলায়। আলমগীর হোসেন গোকর্ণ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ও লাবণী আক্তার ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য একই গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে। পরে ১লা নভেম্বর বৃহস্পতিবার শার্শা থানা পুলিশ মেয়েকে মনিরামপুর থেকে উদ্ধার করে। এঘটনার পর মেয়ের বাবা জলিল ছেলের পরিবারের সদস্যদের কাছে দেড় লাখ টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সুযোগ বুঝে মেয়ে পুনরায় গত ১৮ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে মেয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এঘটনার পর মেয়ের বাবার নের্তৃত্বে ছেলের বাড়ির লোকজনকে বেধড়ক মারপিট করে হাসপাতালে পাঠায়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৯/১০টার দিকে জলিল ও তার স্ত্রীর নের্তৃত্বে রতন আলী, মাসুদ, শরিফুল, সাগর, মোহাম্মাদ, হাসেম, ইমামুল, কামাল, জালালসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল শুকুর আলীর বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় বাছুরসহ একটি গাভী নিয়ে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। একটি মটর, বাড়ীতে রক্ষিত একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ১৫০ টি মেহগণী গাছ কেটে দেওয়া হয়। বাড়ী-ঘর আসবাবপত্র, ঘরের জানালা দরজা টিন টালী সব ভেঙ্গে ফেলে দেওয়া হয়। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর সময় শুকুর আলী ও তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন পালিয়ে যায়। আলমগীর হোসেন জানায়, মেয়ে কবে কখন কোথায় গেছে তা আমি জানি না। মনে হয় দাবীকৃত দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়নি তাই তারা মেয়েকে অন্যত্র রেখে আমাদের উপর এই হামলা করেছে। সম্প্রতি আমার বাড়ীতে ভাংচুর হামলা লুটপাট করেছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
আব্দুল জলিল ভাংচুর হামলা লুটপাটের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য থানায় মামলা করব।
শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই খাইরুল আলম বলেন, লোক মুখে শুনেছি জলিলের লোকজন শুকুর আলীর বাড়ির ১৪০টি লম্বু ও মেহগণী গাছ কেটে দিয়েছে এবং বাড়িতে হামলা ভাংচুর করেছে। এঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএ