তিন জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

দেশের ৩ জেলায় র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় দুইজন ও সিলেট ও মুন্সীগঞ্জে একজন করে নিহত হয়েছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত ও মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়া খালীর ট্যুরিস্টজোন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাবরাং কচুনিয়ার আব্দুর রহিমের ছেলে নজির আহমদ প্রকাশ ওরফে নজির ডাকাত (৩৮) ও হ্নীলা জাদিমোরা নয়াপাড়ার আমির হামজার ছেলে আব্দুল আমিন (৩৫)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই খাইরুল আলম (৩৮), কনস্টেবল রুমন (৩৪), মংছিং প্রু (৩৮) ও আব্দুস শুক্কুর (২২)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ আরটিভি অনলাইনকে জানান, গ্রেপ্তার নজির ডাকাতকে নিয়ে মঙ্গলবার দিনগত রাতে তার আস্তানায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নজিরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে নজিরের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে নজির ও আব্দুল আমিনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চারটি দেশীয় অস্ত্র, ২১ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সিলেটে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শহিদ মিয়া নামে তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বেচাকেনার গোপন খবর পেয়ে শ্রীরামপুর এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা।উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে মাদক ব্যবসায়ীরা। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে।ঘটনাস্থল থেকে শহিদ নামের একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া ঘটনাস্থল থকে একটি বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত শহিদ মিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক সম্রাট । তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুলিবিদ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরেকজন নিহত হয়েছেন। তার নাম আবুল হোসেন শেখ (৪৯)। তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কুণ্ডেরবাজার গ্রামের নাজিম উদ্দিন শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের মাদক চোরাকারবারীদের যে তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করেছে, সেখানে আবুলের নাম সবার উপরে ছিল বলে র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দেউলবাড়ী গ্রামে মাদক কারবারিদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল সেখানে যায়।
রাত একটার দিকে তারা আমাদের টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আমরাও পাল্টা গুলি করি। পরে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।
গুলিবিদ্ধ আবুলকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মেজর আশিক।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি এবং ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। এ অভিযানে দুই র্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।