ঢাকা মঙ্গলবার, ১লা এপ্রিল ২০২৫, ১৯শে চৈত্র ১৪৩১


মশার কামড়ে অতিষ্ঠ লক্ষ্মীপুর পৌরবাসী


২৪ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৮

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: মশার কামড়ে অতিষ্ঠ লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দারা। মশা নিধনে কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে দিন-দিন বেড়েই চলেছে মশার উৎপাত। এতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন পৌরবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। বাসা-বাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, স্প্রে সব কিছুই মশার কাছে হার মানছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মশা নিধনের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা।

পৌরসভার নালা নর্দমায় অপরিষ্কার পানি জমে থাকা, নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পৌরবাসী। এছাড়া পৌরসভার প্রায় সব এলাকায় সড়কের পাশের অধিকাংশ স্থানে নালার ঢাকনা না থাকায় মশার বিস্তার চরম আকার ধারণ করেছে বলে মনে করেন তারা।

শহরের শেখ রাসেল সড়কের বাসিন্দা মোবারক করিম জানান, গত কয়েকমাস থেকে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ নালা-নর্দমাগুলোতে মশক নিধন স্প্রে না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মিত মশা নিধনকরী ওষধ প্রয়োগ করা হলে হয়তো পৌরবাসী এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

দক্ষিণ তেমুহনিতে বাসরত গৃহবধূ তানজিলা ইকবাল ঈশা বলেন, মশার বংশ বিস্তার রোধে ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের ওষধ ছিটানোর কোন খবর নেই।

সম্প্রতি এ শহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষার্থী জিসান, দীপ্ত, শাওন ও স্নিগ্ধ জানান, এতো মশা যে কয়েল দিলেও কাজ হয় না। মশার গুণগুণ শব্দে এবং কামড়ে ভীষণ বিরক্ত লাগে। পড়াশুনাও ঠিকমতে করতে পারছি না।

এবিষয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাভী জানান, পৌরসভার আগের ফগার মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে স্প্রে করা সম্ভব হচ্ছে না আপাতত। সেগুলো মেরামত করলে ফের নষ্ট হয়ে যায়। মেশিনগুলো ঠিক করে কয়েক দিনের মধ্যেই পৌরসভায় মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।