কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলে আস্থার প্রতীক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুর রহমান

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলবীবাজার-৪ আসনে (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যপক মো. রফিকুর রহমানের বিকল্প নেই। এ আসনে নৌকার জয় পেতে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও তার উপর আস্থা রাখতে চাইছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গছে, আগামী নির্বাচনে এ আসনে নৌকার জয় পেতে হলে একজন সৎ নিষ্ঠাবান পরোপকারী ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, নেতাকর্মীদের মূল্যয়ন করেন এমন একজন যোগ্য নেতৃত্বের দরকার। যার মধ্যে এসব গুনাবলী আছে, তেমন একজন মানুষ হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যপক মো. রফিকুর রহমান। ফলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই নেতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষদের কাছে এরই মধ্যে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন।
কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, এ আসনের বর্তমান সাংসদ পারিবারিক লোকজন দিয়ে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করেছেন। বিএনপি জামাতের সঙ্গে আঁতাত করে দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের কোনঠাসা করে রেখেছেন। লুটপাটের কারণে ভোটারদের ওপর তার আস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ফলে ভোটাররা তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এ অবস্থায় নৌকার হাল ধরতে বিকল্প হিসেবে রফিকুর রহমানকেই এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা।
প্রচার বিমুখ অধ্যপক মো. রফিকুর রহমান এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে রাত-দিন জনগণের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে আনতে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা আন্দোলন সংগ্রামের অকুতভয় সৈনিকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সুফল দরিদ্র মানুষ ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির কাছে পৌছাতে অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি আগামীতে এলাকায় শিল্পায়নের মাধ্যমে যুবকদের শতভাগ কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য পরিকল্পনা করছেন অধ্যপক মো. রফিকুর রহমান। দেশের অন্যতম চা উৎপাদনকারী এ অঞ্চলে চা প্রক্রিয়া করণ শিল্প গড়ে বেকার চা শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
মৌলভী বাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের ভোটার ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং একাধিক জনপ্রতিনিধি এই প্রতিবেদককে বলেন, সময়ের কোকিলদের এখন আর মানুষ ভোট দিবেনা। যারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে থেকে মানুষের সেবা করেছে, নেতা কর্মীদের সব সময় পাশে ছিল, ভোটের মাঠে প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই চাচ্ছে সাধারণ ও তরুন ভোটাররা।
স্থানীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন কর্মকার তিনি বলেন, আমাদের কেউ তেমন কোন মূল্যায়ন করে না। কিন্তু ভোটের সময় সবাই আমাদের কাছে আসতে হয়। এই আসনে চার লাখ ভোট আছে আর এই সব ভোটের ৬৫% ভোট হচ্ছে সংখ্যালঘু তাই আসছে নির্বাচনে আমরা ভোট খুব হিসাব করে দিবো।যাকে আমরা সব সময় আমাদের দুঃখে-সুখে পাবো আমাদের সব ভোট সবাই মিলে তাকেই দিবো বলে জানান।
স্থানীয় উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সাগর হাজড়া জানান, অতিতে যা ভুল করেছি তা বর্তমানে করতে চাই না।আমরা চাই আমাদের মাঝে যেই আসুক তাকে যেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ২ ঘন্টা আমাদের মাঝে পাই। এলাকায় উন্নয়নের মাঝে তাকে যেন পাই বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় প্রতিনিধিরা বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আঁতাত করে সীমাহীন লুটপাট করছে। যার কারণে নেতা কর্মীরা পরিবর্তন চাইছে। তবে এক্ষেত্রে কর্মী বান্ধব নেতা অধ্যাপক রফিকের দিকে ঝুকছে তারা। বিষয়টি দলীয় হাইকমান্ডকেও জানানো হয়েছে। হাইকমান্ড কি সিদ্ধান্ত নেয়, এখন তাই দেখার বিষয়। এ মুহুত্বে রফিকের বাইরে অন্য কোন নেতা দলীয় টিকেট আনলেও নৌকার জয় নিয়ে সন্দেহ দেখা দিবে বলে মনে করেন তারা।
আরকেএইচ