ঢাকা বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


অবরোধ শেষে জেলেদের বাধা হয়ে দাঁড়ালো লঘুচাপ


৩১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৪৭

লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে পারছেন না জেলেরা। অবরোধ শেষে শরণখোলা থেকে ২৮ অক্টোবর রাতে অনেক ট্রলার ছেড়ে গেলেও সেগুলো সাগরে যেতে পারেনি। তিন দিন ধরে শত শত ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলার সহস্রাধিক ফিশিং ট্রলারের মহাজনরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গিয়ে অন্ততঃ ২০-২৫টি ট্রলার সাগরে যাবার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নোঙর করা অবস্থায় দেখা গেছে। জেলেরা ট্রলারে ও আশপাশের দোকানপাটে বসে অলস সময় পার করছেন। এসময় ট্রলার মালিক তহিদুল তালুকদারের এফবি মা-জাহান ট্রলারের মাঝি মো. আবুল কাশেম ও দেলায়ার ফরাজীর এফবি রূপসা ট্রলারের মাঝি নূরআলম জানান, অবরোধ শেষে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে তাদের সাগরে রওনা হওয়ার কথা। এজন্য ট্রলারে জ্বলানি, বরফসহ সমস্ত বাজারসদয় করে প্রস্তুত। কিন্তু এরই মধ্যে আবহাওয়া খারাপ দেখে তারা ট্রলার ছাড়েননি। এ অবস্থায় জেলে-মহাজন উভয়েরই লোকসানে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন।

জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, এবছর ইলিশ মৌসুমের শুরু থেকেই কয়েক দফা দুর্যোগে পড়ে অধিকাংশ জেলে-মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ২২দিন পর সাগরে রওনা করেও বৈরী আবহাওয়ায় যেতে পারেনি। শরণখোলার বিভিন্ন এলাকায় এক হাজারেরও বেশি ফিশিং ট্রলার রয়েছে। অবরোধের পর সাগরে যাবার জন্য প্রত্যেক ট্রলারে ৫০ হাজার থেকে এক-দেড়লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে এখন চিন্তায় পড়েছেন।

পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, দুর্যোগে আশ্রয় নেওয়া ট্রলার ও জেলেদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের বলা হয়েছে।