মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: ৩ দিন পর ইউপি সদস্যসহ ২ মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার তিন দিন পর নিখোঁজ ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নদীর চর হাসাইল ও চৌসার এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো হলো- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খান (৫০) ও রাজধানীর ধানমন্ডির শংকর এলাকার মাহফুজুর রহমান (৩৫)।
মুন্সীগঞ্জ সদরের চর আবদুল্লা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. হাসনাত জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ৩ দিন পর ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের স্বজনরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এ দুর্ঘটনায় এরইমধ্যে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাল্কহেডের ৩ শ্রমিককে আটক করে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার পর বাল্কহেডের চালক পালিয়ে গেছে। বাল্কহেডটি চাঁদপুরের মতলব উপজেলার দশআনি এলাকার মো. নরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বলে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে খেয়া পারাপারের সময় বাল্কহেডের ধাক্কায় এ ট্রলারডুবির দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ হন বেশ কয়েকজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুজন নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।