স্কুলছাত্র হৃদয় হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি

কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র মুতাসসিম বিন মাজেদ ওরফে হৃদয় অপহরণ ও হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-শহরের কালিশংকরপুর এলাকার গাফফার খানের ছেলে সাব্বির খান, হাউজিং-এ ব্লকের আজম আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ড্যানী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল ক্যানেল পাড়ার মৃত মোসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ ওরফে ইপিয়ার। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি সাব্বির খান উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া পূর্বপাড়া এলাকা থেকে জেলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হৃদয়কে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। ৪ দিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুনের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ হিসাবে ১২ লাখ টাকা দাবি করে। দেন-দরবারের পর ২ লাখ টাকার বিনিময়ে হৃদয়কে ছেড়ে দিতে সম্মত হয় তারা। অপহরণকারীরদের কথামত হৃদয়ের মা ২ জুন গোপনে নির্দিষ্ট স্থানে ২ লাখ টাকা পৌঁছে দেন। কিন্তু অপহরণকারীরা হৃদয়কে ফেরত দেয়নি। এরপর ছেলেকে ফেরত না পেয়ে হৃদয়ের মা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিন মাস পর ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভেড়ামারার ১০ মাইল এলাকার একটি ইটভাটার কাছে মাটির নিচ থেকে হৃদয়ের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. আকরাম হোসেন দুলাল জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে এই হত্যাকাণ্ডে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন করেছেন আদালত।
আরকেএইচ