পুঠিয়ায় মৃৃত কাজিকে জীবিত দেখিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রির অভিযোগ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিবাহ রেজিস্ট্রারের মৃত্যুর পরেও বিয়ের কাজ থেমে নেই। পুঠিয়া ইউনিয়নে এরকম একটি নিকাহনামার খোঁজ পাওয়া গেছে। তাতে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য বলেন, তবে কি কাজি পৃথিবীতে ফিরে এসে নিকাহনামা রেজিষ্ট্রি করালেন,! এলাকাবাসী সহ ঐ ইউপি সদস্য আরো বলেন, রেজিস্ট্রার বহি জব্দ না করায় মৃত কাজির সহকারীরা অবৈধ ভাবে গোপনে সিল স্বাক্ষর ব্যাবহার করে বিবাহ রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। রাজস্ব হারানো সহ যা পরবর্তীতে আইনিজটিলতায় পরবে সাধারণ জনগণ।
বারইপাড়া গ্রামের (মন্ডলপাড়া) জামে মসজিদের ইমাম বলেন,আমি আগে বিবাহ রেজিস্ট্রি করতাম কিন্তু, ইউনিয়ন কাজি মেহেদী হাসান ১৪ই মার্চ আত্নহত্যা করে মৃত্যু বরন করলে রেজিষ্ট্রি কাজ ছেড়ে দেই। ডকুমেন্টস কাবিন নামা দেখালে তিনি অস্বীকার করেন। যেখানে মৃত কাজির সিল স্বাক্ষর সহ তারিখ দেখানো হয়েছে ২৩/৭/২০২৩ খৃষ্টাব্দ, কিন্তু কাজি মৃত্যু বরন করেন,১৪/৩/২০২৩ খৃষ্টাব্দ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ তিনি মাঝে মধ্যেই তার বাড়ি চারঘাট উপজেলার বালাদিয়াড় নিজ বারিতে গোপনে বিবাহ রেজিস্ট্রি করে থাকে।
পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টু বলেন,ঐ ইমাম একজন প্রতারক ধুরন্ধর প্রকৃতির, তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া পৌরসভার কাজি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউনিয়ন কাজি মৃত্যুর আগে বিভিন্ন অপরাধের কারণে তার বহি কাগজপত্র জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। পরে ততকালীন ইউএনও স্যার আমাকে এই ইউনিয়নের অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু, সাবকাজিগুলোর কাছে খাতাবহি গুলো রয়ে গেছে, এগুলো উদ্ধার না করলে এরকম অবৈধ নিকাহ রেজিষ্ট্রি চলতেই থাকবে। এজন্য উপজেলা প্রশাসন ও জেলা রেজিষ্টারের হস্তক্ষেপ সহ সহযোগিতা চান তিনি।