পুঠিয়ায় বিক্ষোভের মুখে হিন্দু'বৌদ্ধ'খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের কমিটি স্থগিত

উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের গোপনে কমিটি গঠনের সময় পুঠিয়া হিন্দু কল্যাণ ও সংস্কার সমিতির সভাপতি চঞ্চল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার সেন গুপ্ত ডাকু'র নেতৃত্বে প্রায় ৪০০/৪৫০ জন হিন্দু ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের বিক্ষুব্ধ জনতা সন্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়ে লুকিয়ে গোপনে কেন কমিটি গঠন করা হচ্ছে এবং কেন তাদের কে জানানো হলো না তার সাংগঠনিক ভাবে জবাব চান।
পুঠিয়া হিন্দু কল্যাণ ও সংস্কার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার সেন গুপ্তকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত শুক্রবার হোটেল তাজে এঘটনা ঘটে। পুঠিয়াতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গোপনে কমিটি গঠন করে আসছিলো উক্ত দুই সংগঠন। পুঠিয়াতে হিন্দু ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের শুধু ভোটার সংখ্যা ২৭হাজারের উপরে কিন্তু দুইটা সংগঠনের সন্মেলনের উপস্থিতির সংখ্যা ৮০/৯০ জন। অবাক লাগলো দুই সংগঠনের সন্মেলনের খাবার প্যাকেটের ব্যবস্থা ছিল মাত্র ১৩০ প্যাক। এ থেকেই কি বোঝা যায় না সংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা কতটা শক্তিশালী?
পুঠিয়ার হিন্দু ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায় এই সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বাস্তবে কিছুই দেখতে পায়না। দীর্ঘ দিন থেকে এটা একটা নাম সর্বস্ব ফেসবুক কমিটি। হিন্দু সম্প্রদায়ের ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের কারো সাথে এদের যোগাযোগ নেই, বিপদে পাশে নেই। ফলশ্রুতিতে এই জনবিচ্ছিন্ন নেতৃত্বের উপর স্থানীয় হিন্দু ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।
পরবর্তীতে সন্মেলনের সভাপতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমল ঘোষ এবং পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন নিয়োগী বিক্ষুব্ধ জনতার প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি রাজশাহী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বাবু রনজিত কুমার কবিরাজ আয়োজকদের অসাংগঠনিক পন্থা অবলম্বন করে সন্মেলনের আয়োজন করার ব্যর্থতার দায়ভার উপজেলা কমিটিকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাবু অনিল কুমার সরকার তার বক্তব্যে বলেন, কাউকে না জানিয়ে সন্মেলনের আয়োজন করায় আজকের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে হিন্দু ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সকলকে জানিয়ে সন্মেলনের আয়োজন করা হবে।