অপহরণের দুই দিন পর মা-মেয়ে উদ্ধার
-2018-10-23-21-51-28.jpg)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মা মেয়েকে অপহরনের ২দিন পর উদ্ধার করেছে ভুলতা থানা পুলিশ। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় গত রোববার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাহনা মঞ্জু ফকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া লাভলী বেগম (৩৫) মেয়ে লামিয়াকে (৯) ফোসকা খাওয়াতে রাস্তায় আসলে অজ্ঞাত অপহরনকারীর দল তাদের কালো মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
তুলে নিয়ে তাদের মোবাইল দিয়েই লামিয়ার বাবা ইমারত তালুকদারের কাছে ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ইমারত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অপহিতদের উদ্ধারে অভিযান চালায়। পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তারা তারাব নোয়াপাড়া এলাকায় আছে। এ খবর অপহরণকারীরা টের পেয়ে আটকের দুইদিন পর বিশ্বরোড এলাকায় চোখ মুখ বেধে ফেলে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাদের চোখমুখ বাধা অবস্থায় পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত লাভলী বেগম জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মুচকুরনী এলাকার ইমারত তালুকদারের স্ত্রী। তিনি মাহনা এলাকার মঞ্জু ফকিরের বাড়িতে ভাড়া থেকে ভি-নেট গার্মেন্টেস চাকরি করত। স্বামী অন্তিম টেক্সটাইল মিলের নাইট গার্ডের চাকরি করেন। গত (২১ অক্টোবর) রোববার দুপুরে মেয়ে লামিয়া ফোসকা খেতে চাইলে মেয়েকে ফোসকা খাওয়াতে রাস্তায় আসে। এসময় দুইটি লোক তাদের কাছে এসে মুখের সামনে কাপড় ঘুরাইয়া নেয়। এরপর আমাদের একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। কোথায় নিয়েছে বলতে পারিনা। সেখানে নিয়ে আমাকে একটি বাড়ির দোতলায় হাত পা বেঁধে রাখে। মেয়ে লামিয়াকে নিচ তলায় রাখে।
তিনি আরো বলেন, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মোবাইল দিয়ে আমার স্বামীর কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এরপর আমাকে বলে তোর স্বামী টাকা না দিলে তোদের মেরে ফেলা হবে। কিন্তু আমি যখন বলি আমার স্বামীর এত টাকা নেই। তখন তারা ১লাখ টাকা দিতে বলে। এভাবে ২দিন আটক রেখে আজ মঙ্গলবার ৫টার দিকে আমাকে ও লামিয়াকে চোখমুখ বেধে তারাব বিশ্বরোড এলাকায় ফেলে তারা পালিয়ে তযায়। পরে পথচারীরা আমাদের চোখমুখ খুললে আমরা ঠিকানা বলি। তখন ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশ আমাদের নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর মো. রফিকুল হক জানান, অপহরনকারীদের বিকাশ নাম্বার দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা তাদের অবস্থান নির্ধারণ করি। অপহরণকারীরা উপায়ান্ত না পেয়ে লামিয়া ও লাভলি বেগমকে ২দিন আটকের পর তারাব বিশ্বরোড এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়। পথচারীরা বিশ্বরোড এলাকায় চোখমুল বাধা অবস্থায় একটি শিশু ও একজন মহিলাকে দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয় পরে তাদের উদ্ধার করি। তিনি আরো বলেন ইদানিং এলাকায় অপহরণকারীর একটি চক্র খুবই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের ধরার জোর প্রচেষ্টা চলছে।
এমএ