আশুলিয়ায় স্ত্রীকে জবাই করে সন্তানকে নিয়ে পলাতক স্বামী, র্যাবে হাতে গ্রেপ্তার

রাজধানীর অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। ঘটনার দুই দিন পর খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-৪ ও র্যাব-১৩-এর যৌথ অভিযানে তাকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে সাভারের নবীনগরে র্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি তুলে ধরেন র্যাব-৪ সিপিসি-২-এর কম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে শুক্রবার ভোররাতে রংপুরের পীরগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার তৈয়বর মিয়ার ছেলে ফারুক হোসেন।
ভুক্তভোগী শিমু আক্তার একই এলাকার নয়া মিয়া ব্যাপারীর মেয়ে।
র্যাব জানায়, ছয় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফারুক ও শিমুর। তাদের চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্কের সন্দেহ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিল।
এর আগে গাইবান্ধা থেকে ঢাকার আশুলিয়ায় এসে চাকরি নেন শিমু আক্তার। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ফারুক হোসেন গ্রাম থেকে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চাকরি নেন ও একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু পারিবারিক কলহ ও পরকীয়ার সন্দেহের জের ধরে রাতে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে শিমুকে হত্যা করে সন্তান সিয়ামকে নিয়ে পালিয়ে যান ফারুক।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে আসামি। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির সময় রাগের বশে হাতের কাছে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে পেছন দিক থেকে স্ত্রীর গলা কেটে দেন।
পরে লাশ বাথরুমে নিয়ে ওড়না দিয়ে ঢেকে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যান। আসামিকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ২০ জুন সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়ার পশ্চিমপাড়ার পাঁচতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে শি মুর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফারুককে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড় বোন লাবনী।