ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


মেয়র লিটন-এর নির্বাচনী ক্যাম্প করায় ষড়যন্ত্রের শিকার ছাত্রলীগ ও যুবলীগ


৮ মে ২০২৩ ০৭:৩৫

ছবি সংগৃহীত

গত ৫ ই মে রাজশাহীর অক্ট্রোর মোড়ে সংবাদ পত্র অফিস ভাংচুর ও সাংবাদিক মারধর করার অভিযোগ এনে সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক পত্রিকার সাংবাদিক মাসুদ আলী পুলক একটি অভিযোগ ও পরবর্তীতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১ নং আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। তবে মামলায় উল্লেখিত আরও ৫জন অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত না দাবী করে আজ দুপুরে স্থানীয় একটি হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক নুর হাসান রিংকু। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন

“আপনারা হয়তো অবগত আছেন গত ৫মে রাজশাহী মহানগরী অক্ট্র্রোর মোড়ে অবস্থিত “বাংলার বিবেক” নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগে আাসাদুল হক দুখুকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিলছিমলা এলাকার মাসুদ আলী পুলক নামে একজন বাদি হয়ে আমাদের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নামসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে মতিহার থানায় মামলা করেন। যে ঘটনার সাথে আমরা কোন ভাবেই জড়িত নয়।

মুলত তালাইমারী অক্ট্রোর মোড় এলাকার মাসুদ রানা রাব্বানী আমাদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা করিয়েছে।

সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা সাংবাদিকতা করেন তারা তালাইমারী এলাকার মাসুদ রানা রাব্বানীর পূর্বের ও বর্তমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিষয়ে অবগত আছেন। তার এমন অবৈধ কর্মকান্ডে বাঁধা দেয়ায় আমাদের নামে এই মিথ্যা মামলা।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি অক্ট্রোর মোড় এলাকায় মতিহার থানা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক সৌরভ শেখ ও সৈকত এর নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারনা ক্যাম্প নির্মান করার সময় মাসুদ রানা রাব্বানী নির্বাচনী ক্যাম্প করতে বাঁধা প্রদান করেন। সেইসাথে নির্বাচনী ক্যাম্প না করার জন্য বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন সাংবাদিক নামধারী মাসুদ রানা রাব্বানী। আমরা জানতে পারি সেখানে একটি পুকুর জবর দখল করার পাঁয়তারা করছেন মাসুদ রানা রাব্বানী। আমরা সেখানে নির্বাচনী ক্যাম্প করায় তার সেখানে বাঁধা হওয়ার আশঙ্কায় তিনি তার অফিসে হামলার ঘটনায় আমাদের জড়িয়ে আমাদের নামে মামলা করান। আমরা মাসুদ রানা রাব্বানীর করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ এমন মিথ্যা মামলা দেয়ার তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

আপনারা ইতিমধ্যে অবগত আছেন রাজশাহী মহানগরী রুপকার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ভায়ের ওপরে হামলার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে এই মাষুদ রানা রাব্বানী। এছাড়াও তালাইমারী মোড় এলাকায় ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে কাঙ্গালী ভোজের খিচুড়ির হাড়ি লাথি মেরে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে এই রাব্বানী।

সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনাদের আরো অবগত করছি যে এই মামলায় বাদি মাসুদ আলী পুলক সে জামায়াত বিএনপির সক্রীয় ক্যাডার। তার নামে নাশকতাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও যার অফিস ভাংচুর হয়েছে মাসুদ রানা রাব্বানী সেও বিএনপির ক্যাডার। তার নামেও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা, নাশকতা ও মাদকের মামলাসহ প্রায় দুই ডজন মামলা রয়েছে। এছাড়াও গত ২০২১ সালে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক সহ কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ও রয়েছে তার নামে।
এবার আসি সাক্ষীদের বিষয়ে। মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তারাও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। ১নম্বর সাক্ষী জুলেখা, সে এ পর্যন্ত ৫টি স্বামী পরিবর্তন করেছেন। এখন সে সন্ত্রাসী রাব্বানীর অনিবন্ধিত অনলাইন রাজশাহীর সময় অনলাইন পত্রিকায় কাজ করছেন। ২ নম্বর সাক্ষী পারভেজ ইসলাম। সেও প্রথমে ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করতেন। পরে রাজশাহীর বিভিন্ন পতিতা মেয়ে দিয়ে মানুষকে কৌশলে ফাঁসিয়ে নিজে কখনো পুলিশ আবার কখনো ডিবি ও তার সহযোগিরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছবি ও ভিডিও করে ব্লাকমেইল করতো। এমন ঘটনায় তার সহযোগীরাসহ পারভেজ কয়েকবার আটক হয়েছিলো।
৩ নম্বর সাক্ষী ইব্রাহিম হোসেন সম্রাট সেও মাদকব্যবসায়ী। আর চার নম্বর সাক্ষী দুর্জয় খান সে তো প্রতারনার শির্ষে। সেও প্রতারনার মাধ্যমে কয়েক মেয়েকে বিয়ে করে ডিভোর্স দিয়ে তাদের জীবন নষ্ট করেছে। সর্বশেষে মামলার এক নম্বর সাক্ষী জুলেখাকে বিয়ে করে স্ত্রীর পরিচয় দেয় । তবে বিয়ের পক্ষে কোন দলিলাদী দেখাতে পারে না। দুর্জয় নিজেকে পুলিশ, সিআইডিসহ বিভিন্ন অফিসারের পরিচয় ব্যবহার করে।

সর্বশেষে আপনাদের লিখুনির মাধ্যম দিয়ে রাজশাহীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামাত-বিএনপি’র সশস্ত্র ক্যাডার মাসুদ রানা রাব্বানী বাহিনীর করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে রিংকু বলেন আমরা রাব্বানীর অফিসে যায়নি সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই প্রমান পাওয়া যাবে, যেখানে যায়নি সেখানে তার অফিস ভাংচুর বা তার সাংবাদিকদের মারধরের প্রশ্নই আসেনা তিনি নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ১ নং আসামী দুখুর সাথেও আমাদের নাম জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত বঙ্গবন্ধুর প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের মহানগর থানা পর্যায়ে বিভিন্ন পদে সততার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করছি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে প্রচারণা ও তাকে বিজয় করার জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি এই হয়রানি ও যড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলার কারনো আমাদের নৌকার পক্ষে প্রচারণায় বাঁধাগ্রস্থ হতে হচ্ছে। রাব্বানী ও তার সহযোগীরা প্রকৃত সাংবাদিক ও না আবার দেশপ্রেমিক ও না। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে রাজশাহী শহরের দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে বিএনপি মনোভাব সম্পন্ন রাব্বানী ও তার সহযোগীরা ইর্ষান্নীত হয়ে নৌকা কে পরাজিত করার পাঁয়তারা করছে। যে বঙ্গবন্ধুর শোক দিবস পালন করার সময় গরীব মানুষের খাবার লাথি দিয়ে ফেলে দেয় সে কখনো নৌকার জয় মেনে নিতে পারবে না। তাই রাব্বানীদের মতো রাষ্ট্রদ্রোহী বিএনপি জামাতের ক্যাডারদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়ে এবং মিথ্যা মামলা থেকে প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ মৃদুল, মোঃ মিলন শেখ, মোঃ মিঠু ও মোঃ বুলবুল।