ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


ডাকাত ছালেহ র‍্যাবের হাতে আটক হওয়ায় টেকনাফে ছাত্রলীগের মিষ্টি বিতরণ


৭ মে ২০২৩ ০৬:০৫

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা ডাকাত ছালেহ বাহিনী প্রধান হাফিজুর রহমান ছালেহ উদ্দিন ওরফে ছলেহ ডাকাতকে ৫জন সহযোগীসহ আটকের ঘটনায় পুরো উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মধ্যে উল্লাস দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে উল্লাসিত জনসাধারণের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ ও মিষ্টিমুখ করাতে দেখা গেছে।

শনিবার (৬মে) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ষ্টেশনের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ মোহাম্মদ নাসিরের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ব্যবসায়ী, পেশাজীবি, দোকানদার, সাধারণ মানুষকে মিষ্টিমুখ করান।

এসময় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ যাবতীয় অপরাধ দমনে সব ভেদাভেদ ভুলে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধভাবে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সার্বিক সহায়তার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এরপর র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কর্তৃক টেকনাফের দূর্গম পাহাড় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অন্যতম হোতা নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের ব্লক-ডি,শেড নং-৭৪৯, ১নং রোমের বাসিন্দা মোহাম্মদ শফি ওরফে নাসির উদ্দিনের পুত্র হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ উদ্দিন প্রকাশ ছলে ডাকাত (৩০), তার সহযোগী নুরুল আলম ওরফে নুরু (৪০), আক্তার কামাল ওরফে সোহেল (৩৭), নুরুল আলম ওরফে লালু (২৪) সহ ৬জনকে বিপূল পরিমাণ দেশী-বিদেশী অস্ত্রাদি ও বুলেটসহ গ্রেফতার করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এছাড়া উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, বাহারছড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের বাজার সমূহে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক পাহাড়ি ডাকাত দলের মুলহোতাকে গ্রেফতার করায় উল্লাস করতে দেখা গেছে। এইজন্য কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এ দায়িত্বরত সকলের প্রতি জনসাধারণ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাবন করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা গ্রীণ এনভায়রণমুভমেন্ট টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি তারেক মাহমুদ রনি জানান, কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর এই অভিযানে আজ পুরো উপজেলার মানুষ খুব খুশি। টেকনাফে দায়িত্বরত সব বাহিনীই এসব অপরাধ দমনে খুবই আন্তরিক। আগামীতে সকলের সমন্বয়ে র‌্যাব,পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
এদিকে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, এলাকার শিক্ষিত ও সচেতন মহল ঐক্যবদ্ধ হয়ে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, এপিবিএনের সমন্বয়ে দলমত,নির্বিশেষে সকল প্রকার স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে টেকনাফের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় বাণিজ্য, মাদক চোরাচালান এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হাতে দমন করে সীমান্ত জনপদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে অভিমত জানান স্থানীয় সচেতন মহল।