ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


শিল্পাঞ্চল গার্মেন্টস শ্রমিক মারুফা ধর্ষণকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


৩০ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১৩

সাভারে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও প্রতারণা ধামাচাপায় গাজীপুরের কাশিমপুর ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডল এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক ভুক্তভোগী নারী।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর ভাই বলেন, লাল সবুজের বাংলায় ধর্ষণকারীর ঠাঁই নাই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা কাছে এই আবেদন জানাচ্ছি যে, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন নিয়ে এসে তাদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মামলা তুলে নিয়ে এলাকা থেকে দ্রুত সরে যেতে বলেন, নয়তো আরও খারাপ কিছু হতে পাড়ে বলে হুমকি দিচ্ছে আমাদের। আপনার কাছে আকুল আবেদন অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

জানা যায়, মোসা: মারুফা (২০), পিতা-মোঃ সাইফুল ইসলাম,সাং-পশ্চিম দলিরাম বৈথপাড়া, থানা-কিশোরগঞ্জ, জেলা-নীলফামারী, সাভার মডেল থানাধীন হেমায়েতপুরস্থ একেএস গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করতেন মারফা। চাকুরী করাকালীন সময়ে পরিচয় হয় মোঃ সোহেল রানা (৪৫) পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, সাং- লতিফপুর, থানা-কাশিমপুর,জিএমপি-গাজীপুর এর সাথে। পরিচয়ের একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মারুফাকে দেওয়া হয় বিয়ের প্রস্তাব। সেই সম্পর্কে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়া গত
ইং-০১/০১/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ৮:০০ ঘটিকার সময় সাভার থানাধীন কাঠপট্টিস্থ এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপজিট পাশে একটি বাসা ভাড়া নিয়া বিবাহের আশ্বাস দিয়া ও প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস শুরু করেন তিনি । এবং প্রায় প্রতি রাতেই শারীরিক সম্পর্ক করে সোহেল রানা। তিন বছর সংসার চলাকালীন সময় গর্ভবতী হলে একাধিকবার বাধ্য করে করানো হয় গর্ভপাত।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মারুফা বলেন, আমি বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করিলে সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী প্রদান করেন। এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে গিয়ে বন্ধ করে রাখেন। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সোহেল রানার অভিভাবক মো: মন্তাজ উদ্দিন মন্ডল (৫০), কাউন্সিলর ২ নং ওয়ার্ড গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর পিতা- মৃত সাইদুর রহমান ও মোসা: হাসনা বেগম (৪০), স্বমী-সোহেল রানা সর্ব সাং-লতিফপুর, থানা-কাশিমপুর, নিকট যাইয়া এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে জানালে তার স্ত্রী হাসনা বেগমকে আমাকে বেধম মারপিট করেন। পরর্তীতে কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডল নিকট বিচার করার জন্য হস্তান্তর করেন। কাউন্সিলর বিচার করবে মর্মে তার বাড়িতে চার দিন আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন করে এবং বিভিন্ন হুমকি প্রধান করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এবং সোহেল রানার পক্ষপাদিত করে আমাকে বিভিন্ন হুমকী ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

আমি এবিষয়ে বিচারের দাবিতে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি।