পরিচয় মিলেছে কক্সবাজারে উদ্ধার হওয়া ১০ মরদেহের

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তারা ১০ জনই জেলে ছিলেন। নিহত সবাই মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা।
এছাড়াও ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে ট্রলারের মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা সামশুল আলমও রয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে শওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।
নিহত সবাই ৭ এপ্রিল একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সাগরে নেমেছিলেন। সেখানে জেলেদের বরফ রাখার কক্ষে আটকে রেখে ট্রলারটি ডুবি দেয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুর ইসলাম জানিয়েছেন, ‘এটি স্বাভাবিক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
আইকে