এক পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসায়ী!

পল্লবী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোস্তাক ওরফে হেরোইন মোস্তাক। সে ও তার পরিবাররের সবাই মাদক ব্যবসায়ী! কেউ গ্রেপ্তার হলে ব্যবসার হাল ধরে অন্যরা।
জানা গেছে, ওদের মদতদাতা স্থানীয় প্রভাবশালী। মাদকের টাকায় পল্লবীর ১১ নম্বর সেকেশনের ডুইপ প্লটে অর্ধশতাধিক বাড়ি কিনেছে হোরাইন মোস্তাক ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমন অভিযোগ এলাকার প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে। পল্লবীসহ বিভিন্ন থানায় মোস্তাক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পল্লবীর ১১ নম্বরের মিল্লাত ক্যাম্প, ডুইপ প্লট, কনসার্ন ক্যাম্প এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হোরোইন বিক্রি করে আসছে মোস্তাক ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুধু মোস্তাক নয় তার বোন আনোয়ারি, শাকিলা তার ছেলে সুমন ও সায়মুন, ভাগনি সায়মা, শাম্মি, জামিলা ও ভগ্নিপতি কামরানও এলাকাভেদে হিরোইনের স্পট চালান। এদের মধ্যে কেউ গ্রেপ্তার হলে তার স্পটের হাল ধরেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। এভাবেই দিনের পর দিন পারিবারিকভাবে হেরোইনের স্পট চালিয়ে যাচ্ছে মোস্তক ও তার স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, মাদক ব্যবসা করে পল্লবীর ১১ নম্বরের মিল্লাত ক্যাম্প, ডুইপ প্লটসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি কিনেছে মোস্তাক ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। ডুইপ প্লটের বেশিরভাগ বহুতল ভবনের মালিক তারা।
সম্প্রতি পল্লবীর ১১ নম্বরের সি ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোস্তাকের ছেলে সায়মুনকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানা পুলিশ। এই সময় তার সাথে থাকা ৩৭ গ্রাম লুজ হিরোইনও জব্দ করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির উদ্দিন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে হিরোইন বিক্রিকালে গত ১৮ এপ্রিল রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হেরোইন মোস্তাকের ছেলে সায়মুনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসআই জহির উদ্দিন বলেন, মোস্তাক, তার ছেলে সায়মুন, বোন আনয়ারিসহ তার পরিবারের সকল সদস্য মাদক ব্যবসায় জড়িত। তারা মূলত হেরোইন স্পট চালায়। পারিবারিকভাবেই তারা মাদক ব্যবসায়ী। পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. পারভেজ ইসলামের দিক নির্দেশনায় একাধিকবার তাদের গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়েছে।