চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। তবে ওই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের দাবি, সৌদি আরব নয় চাঁদ দেখার ভিত্তিতেই তারা ঈদ পালন করে থাকেন।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ সংলগ্ন সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের জামাতের ইমামতি করেন সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী। এছাড়া সাদ্রা গ্রামে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
সাদ্রার মরহুম পীরের ছেলে মুফতি জাকারিয়া আল মাদানী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা ঈদ উদযাপন করে থাকি। যার ফলে সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি।
সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে প্রথম চাঁদ দেখার উপর মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন।
সাদ্রাসহ ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, শ্রীনারায়নপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর ও দশানী।
আইকে